শরীফ শাওন: [২] সল্প আয়ের লোকদের কেনাকাটার স্থল মিরপুর ১০ নম্বরে ফুটফাট ও মিরপুর ১১ নম্বরের মোহাম্মদিয়া মার্কেট ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা সংকট। গুটি কয়েক ক্রেতার আনাগোনা থাকলেও বিক্রি নেই বলছেন বিক্রেতারা।
[৩] সোমবার মধ্যম আয়ের লোকজনের ভরসাস্থল নিউমার্কেট, গাউসিয়া, চাঁদনীচকসহ আশপাশের মার্কেটগুলোতে জনসমাগম দেখা যায়। তবে দোকানিদের মতে, দোকান সংখ্যার তুলনায় তা অতি নগন্য।
[৪] এদিকে মিরপুর ২ নম্বর এলাকা ঘুরে দেখা যায় ক্যাটস-আই, ইনফিনিটিসহ নামি-দামি ব্র্যান্ডের শো-রুমের পাশাপাশি মধ্যম মানের চন্দ্রবিন্দু, দেশজসহ প্রায় শতাধিক শো-রুম থাকলেও ক্রেতাশূন্য দিন পার করছেন বিক্রেতারা।
[৫] সল্প ও মধ্যম আয়ের ক্রেতাদের বাইরে উচ্চ আয়ের লোকজনের জন্য গড়ে ওঠা শপিং মল ও শো-রুমগুলোতে এ চিত্র একেবারে ভিন্ন। আসাদগেটে অবস্থিতি আড়ং শো-রুম, ফার্মগেটের বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডির রাপা প্লাজা এবং যমুনা ফিউচার পার্কে ক্রেতাদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়।
[৬] সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, রমাজান মাসে সাধারণত সকালে ক্রেতাশূন্য থাকলেও দুপুর থেকে আনাগোনা শুরু হয়। তবে মূল বেচা কেনা হয় সন্ধ্যার পর। এসময় লোক সমাগম সবচেয়ে বেশি থাকে।
[৭] স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও অধিকাংশ স্থানেই তা দেখা যায়নি। আড়ংয়ে তাপমাপক যন্ত্র থাকলেও নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বসুন্ধরা সিটির প্রবেশমুখে স্যানিটাইজ ব্যবস্থা থাকলেও পাওয়া যায়নি তাপমাপক ব্যবস্থা। মিরপুরে ২ নম্বরে অবস্থিত ক্যাটস-আই সহ অধিকাংশ শো-রুমে স্বাস্থ্যবিধির দুটির একটিও পাওয়া যায়নি। এছাড়াও অধিকাংশ ক্রেতারা মাস্ক পরিধান করলেও কেউই মানছেন না শারীরিক দূরত্ব।