শিরোনাম
◈ আওয়ামী সিন্দুকের চাবি এখন এক‌টি দ‌লের হাতে? রাজনী‌তি‌তে খেলোয়াড় বদলেছে, খেলা নয় ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়নস লি‌গে বড় জয় পে‌লো চেলসি, লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউ‌নিখ ◈ আওয়ামী পন্থিদের কারণে প্রশাসনে অস্থিরতা, শিগগির শুরু হচ্ছে অভিযান ◈ আবার ভারত-পা‌কিস্তান মুখোমুখি  ◈ বিএনপি নেতা ফয়জুল করিমের আওয়ামী লীগে যোগদান: বললেন, ‘শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক’ (ভিডিও) ◈ আরও আগে অভিষেক হলে শচীন টেন্ডুলকার‌কে টপকে যেতাম : মাইক হা‌সি ◈ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে প্রতিদিন ৪০০-এর বেশি সাইবার হামলা, অর্ধেক আসছে চীন–উত্তর কোরিয়া–রাশিয়া থেকে ◈ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতারণা চক্রে স্টারলিংক নতুন অস্ত্র, সাইবার নিরাপত্তায় উদ্বেগ বাংলাদেশে ◈ আরও ৯ জনের শরীরে রংপুরে অ্যানথ্রাক্স-সাদৃশ্য উপসর্গ ◈ নির্বাচনের আগে প্রশাসনের রদবদল নিজেই তদারকি করবেন প্রধান উপদেষ্টা: এনসিপি ও জামায়াতকে আশ্বাস

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:০৬ সকাল
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আগামী বাজেটে সুদেই বাড়ছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

সোহেল রহমান : [২] বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবছর সরকারের সুদ ব্যয় বাড়ছে। আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে সুদে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে সুদে ব্যয় ধরা রয়েছে ৬৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরের সরকারের সুদ ব্যয় বাড়ছে ৪ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা।

[৩] অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রাথমিকভাবে প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। প্রাক্কলিত এ বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি এবং পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের পরেই রয়েছে সুদে ব্যয়। সূত্রমতে, আগামী অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় শেষ মুহূর্তে আরও কিছুটা বাড়তে পারে। বিশেষত: কোভিডের কারণে আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বর্ধিতহারে কিছু ঋণ সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে। এ ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য আরও ২০০ বা ৩০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে সে হিসাবে আগামী অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় ৬৯ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াতে পারে।

[৪] জানা যায়, প্রতি অর্থবছর ঋণ পরিশোধের ৯০ শতাংশই বরাদ্দ থাকে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে। বাকিটা বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধের মধ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদ, ব্যাংকের মেয়াদি ঋণের সুদ, সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিল বা জিপিএফের সুদ, চলতি ঋণ এবং জীবন বীমা ও অন্যান্য ঋণের সুদ পরিশোধের বিষয়গুলো রয়েছে। এছাড়া করোনাকালে নতুন করে প্রণোদনা, ভ্যাকসিন কেনাসহ নানা খাতে সুদ ব্যয় হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সুদ ব্যয় হয় সঞ্চয়পত্র খাতে। এ খাতে সরকারকে ১১ শতাংশের বেশি হারে সুদ প্রদান করতে হচ্ছে।

[৪] অর্থ বিভাগের হিসাব মতে, গত ছয় বছরের ব্যবধানে সরকারের সুদ ব্যয় দ্বি-গুনেরও বেশি বেড়েছে। শতাংশ হিসেবে ১১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বাজেটে সুদ খাতে যেখানে ব্যয় হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা; সেখানে চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। এ সময় অভ্যন্তরীণ সুদ ব্যয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয়ও ৫ গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলতঃ গত কয়েক বছরে সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক থেকে অধিকহারে ঋণ নেয়ার কারণে এ ব্যয় বাড়ছে বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছে ৫৭ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণখাতে সুদ ব্যয় হয়েছে ৫২ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ খাতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সুদ ব্যয় ছিল ৩৮ হাজার ১৬০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।
একইভাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই ব্যয় যথাক্রমে ৩৮ হাজার ২৪০ কোটি টাকা এবং ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৪৪ কোটি টাকা ও ১ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়