নিউজ ডেস্ক: নতুন করে ছাড়পত্র (আইপি) না পাওয়ায় কমে গেছে পেঁয়াজ আমদানি। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-৬ টাকা। এক সপ্তাহ আগে আমদানীকৃত প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২০-২২ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৬-২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ছাড়পত্র না পেলে রমজানের বাকি সময়ে দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজ আমদানির জন্য যেসব ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) রয়েছে, তা ২৯ এপ্রিলের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। এরপর নতুন করে আর আইপি পাওয়া না গেলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে বন্দর দিয়ে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, তা আগের আইপির মাধ্যমে। তবে আজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর অঞ্চলে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি আগের তুলনায় কমেছে। এর মধ্যে আজ ভোটের দিন বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিও বন্ধ থাকবে। ফলে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী তারা পেঁয়াজ রফতানি করতে পারছে না। আগে বন্দর দিয়ে ১০-১৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ছয়-আট ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। আমদানি কম হওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। দেশীয় পেঁয়াজের দাম যেখানে প্রতি মণ ছিল ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা, বর্তমানে তা বেড়ে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাাজর ৪০০ টাকা দাঁড়িয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, পেঁয়াজ আমদানির জন্য নতুন করে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আইপি ইস্যু করা হয়নি। আমরা হেড অফিসে কথা বলেছি, আপাতত নতুন করে আইপি ইস্যু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। - বণিক বার্তা
আপনার মতামত লিখুন :