মঈন উদ্দীন: [২] ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ ১১ দিন বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের সব দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বা সরকারি বিধিনিষেধের বলবৎ আছে, রোববার সকাল থেকে রাজশাহী নগরীর সড়কের জনস্রোত দেখে তা বোঝার উপায় নেই! কোথাওই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই।
[৩] মানুষ স্বাভাবিক নিয়মেই আবারও বাইরে বের হচ্ছেন এবং কেনাকাটাও করছেন। হাট-বাজার, দোকানপাট, মার্কেটগুলোতে ভীর বেড়েছে। নগরীসহ জেলার বিভিন্ন বাজারের মার্কেটগুলোতে যেন মানুষের ঢল নেমেছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই তাদের দোকানপাট খোলা রেখেছেন।
[৪] রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার আরডিএ মার্কেটেসহ বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে-সব দোকানই খুলেছে। প্রতিটি দোকানের সামনের অংশে কেবল নামকাওয়াস্তে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই তা ব্যবহার করছেন না।
[৫] এছাড়া জীবাণুনাশক স্প্রে রাখা হলেও তা স্প্রে করা হচ্ছে না। তবে, ব্যবসায়ীরা এখন মুখে মাস্ক পরে ব্যবসা করছেন। ক্রেতাদের মধ্যে কিছু মানুষ মুখে মাস্ক পরলেও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব কেউই বজায় রাখছেন না। পাশে থাকা দায়িত্বরত পুলিশ বার বার হ্যান্ড মাইক নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কেউ তার তোয়াক্কা করছেন না।
[৫] এদিকে সড়কে কোনো গণপরিবহন দেখা না গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচল করছে। সবাই আগের মতই গাদাগাদি করে যানবাহনে উঠছেন। এছাড়া পণ্য পরিবহনের ট্রাক ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
[৬] উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশুহাট মহানগরীর নওদাপাড়ার সিটিহাটে কয়েক হাজার লোকের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে কোথাওই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই।