রাকিবুল রিফাত: [২] সাল ১৯৬৪ ওয়েলসের নাগরিক ব্রিয়ান রবসন ১৯ বছর বয়সী তরুণ অস্ট্রেলিয়া এসেছিলেন ভালো চাকুরী ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের আশায়। নিজের ১৯তম জন্মদিনের কয়েকদিন পরই নিজের নতুন জীবনের স্বপ্ন নিয়ে মেলবোর্নের উদ্দেশ্যে যাত্রা আরম্ভ করেন রবসন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার শহরে পা রেখে তিনি দেখলেন যে তার থাকার জন্যে বরাদ্দকৃত হোস্টেলকে একটা ইদুরের গর্ত বলা চলে। আর চাকুরী ব্যবস্থাও ভালো ছিলো না। পরবর্তীতে ভালো চাকুরীর আশায় কার্ডিফ গেলেও সেখানেও তিনি সুবিধা করতে পারেননি। তাই ব্রিয়ান রবসন ঠিক করলেন, নিজ দেশে ফিরে যাবেন। সিএনএন
[৩] কিন্তু দেশে ফেরার জন্যে তার বিমানভাড়াও ছিল না। রবসন জানান যেখানে ইমিগ্রেশনের জন্য প্রয়োজন ৭০০-৮০০ পাইন্ডের মত, কিন্তু আমি সপ্তাহে ৩০ পাউন্ড আয় করতাম। তাই আমার পক্ষে এই খরচ বহন অসম্ভব ছিল। আর কোন পথ নেই ভেবে বাধ্য হয়েই রবসন চিন্তা করলেন কার্ডিফ থেকে বাক্সে করে সে নিজ দেশে ফিরে যাবে।
[৪] তারপর রবসন নিজে বড় একটি কাঠের বাক্স কিনে আনলেন এবং পরবর্তী এক মাস ধরে এ ব্যাপারে বন্ধুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করলেন। কয়েকদিন পর দুজন বন্ধুর সহযোগিতায় বাক্সে ভরে রবসনকে প্লেনে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হলো। সাথে ছিলো একটি বালিশ, টর্চ, এক বোতল পানি, মূত্রের জন্যে একটি বোতল এবং লন্ডনে পৌঁছাবার পর বাক্স খোলার জন্যে একটি ছোট হাতুড়ি।
[৫] প্লেনে ওঠার পর রবসন বললেন প্রথম ১০ মিনিট ভালোই ছিল কিন্তু বুকের উপর হাঁটু জড়ো করে রাখায় পরে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। আর প্লেন ছাড়ামাত্রই আমার অক্সিজেনের ব্যাপারটা মনে আসলো। এই প্লেনগুলোর মালামাল রাখার স্থানে অক্সিজেন খুব কম থাকে। সিডনিতে পৌছানোর পর তাকে বহনকারী বাক্সটিকে উলটো করে রাখা হয় সেই অবস্থায় নিজের মাথা ও ঘাড়ের ওপর ২২ ঘণ্টা ভর করে ছিলেন । যদিও তিনি কান্টাস থেকে লন্ডনের প্লেন বুক করেছিলেন, কিন্তু ফ্লাইটে জায়গা না হওয়ায় বাক্সটিকে প্যান অ্যাম এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে করে লস অ্যাঞ্জেলসে পাঠিয়ে দেয়া হয়, ফলে তার যাত্রা বহুগুন বেড়ে যায়। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল