মিনহাজুল আবেদীন: [২] শুক্রবার বিবিসি বাংলায় চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর সাহা বলেন, সংক্রমণ যখন নিন্মমুখী হয়েছিলো, তখন সবার মাঝে একটা ধারণা তৈরি হয়েছিলো যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। তারপর থেকে সবক্ষেত্রে ঢিলেঢালাভাব তৈরি হয়েছে। সেটিই সংক্রমণের হার বৃদ্ধির মূলকারণ।
[৩] তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সব জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর কারণে সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে। ইউকে ও সাউথ আফ্রিকান ভেরিয়েন্ট এসেছে। এগুলোর বিস্তার হয়েছে সব জায়গা।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, গবেষণায় ঘাটতির কারণেও সংক্রমণ তীব্রতার কারণ বুঝতে বিলম্ব হয়েছে। গবেষণা করার মতো প্রতিষ্ঠানের অভাব আছে। গবেষণাগুলোর ওপর সাধারণ মানুষ এবং নীতি নির্ধারকরাও অনেক সময় পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না।
[৫] তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যে ট্রিপল মিউটেটেড ভাইরাস এসেছে, সেটা বাংলাদেশে এলে পরিস্থিতি কী হবে, সেটা ভাবলে গা শিউরে উঠছে। ভারতে সংক্রমণের ধরন নিয়ে বিশ্লেষণ করে এখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
[৬] সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. শহীদল্লাহ বলেন, আমাদের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এই মহামারি বিশ্ব থেকে কবে যাবে এটা কেউ বলতে পারছে না। সম্পাদনা: রাশিদ