মনিরুল ইসলাম: বরাবরই আমি কিছুটা ঘরকুনো। চাকরি জীবনের শুরু থেকেই ছুটির দিনে ঘরে কাটিয়ে দেওয়ার অভ্যাস। করোনা অতিমারি আসার আগে পর্যন্ত এই অভ্যাস ধরে রেখেছি। একদিনের ছুটি মানে সারাদিন ঘরে থাকা, নিজের মতো করে থাকা, পছন্দমতো কাজ করাকে আমি সুযোগ হিসেবেই জেনেছি। গত বছর মার্চের শেষ দিকে মহামারির কারনে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়, ঘরে থাকার চেয়ে বাইরে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
১৪/০৩/২১ খ্রিঃ স্পেশাল ব্রাঞ্চে যোগদান করার পর ব্যস্ততা বহুগুণ বেড়ে যায়। আবার শুক্রবার খুঁজতে শুরু করি। কিন্তু পরপর দুটো শুক্রবার হেফাজতিকাণ্ডে নষ্ট হয়ে যায়। এর মধ্যে শুরু হয় সর্বাত্মক লকডাউন। ১৪/৪/২১ খ্রিঃ থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে পুরোপুরি ‘ঘর বন্দী’। গত কয়েকদিনে আর বারের কোন হিসাব নাই, শুধু দিন রাতের হিসাব আছে। আমি এখন বুঝতে পারি মানুষ কেন প্রয়োজন ছাড়া সব বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে বাইরে বেরোতে চায়। আমি এখন ঘণ্টা ধরে দিনের হিসাব করি, কবে আবার বাইরে বেরোবো, স্বাভাবিক জীবনে ফিরবো।
পূনশ্চঃ কোনো কোনো অতি অনুভূতিধারীগণ প্রশ্ন রাখতেই পারেন যে, মহামারি কেমন করে শেষ হবে। তাদের অতি অনুভূতিতে আঘাত লাগবে জেনেও বলি, ইজরায়েলে ৮১ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর মাস্ক পরার বাধ্যবাধতা তুলে দিয়েছে। অধিকাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারলেই করোনা সাধারন ঠান্ডা জ্বরে পরিণত হবে। ফেসবুক থেকে