সুমাইয়া ঐশী: [২] প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকজন এমপি চীনের জিনজিয়াংয়ে গণহত্যা হচ্ছে বলে প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন। এমপিদের এই ঘোষণার পর যুক্তরাজ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনও পদক্ষেপ নেবে কিনা তা বলা হয়নি। তবে দেশটিতে চীনের বিরুদ্ধে যে অসন্তোষ দানা বাঁধছে তা স্পষ্ট। বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস নিউজ এক্সপ্রেস
[৩] এই চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়ার আগে এনিয়ে প্রস্তাব পাস হয় ব্রিটেনের কংগ্রেসে। কংগ্রেসে বিতর্ক চলার সময় চীনের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া ব্রিটিশ এমপি নুস ঘানি বলেন, গণহত্যার অর্থ হলো সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনও জাতি বা ধর্মীয় সমাজকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা। এর সবগুলোই চীনা সরকার দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে উইঘুর সংখ্যালঘুদের ওপর।
[৪] তবে এই প্রস্তাব পাস নিয়ে সরকার পক্ষ থেকে বিরোধীতা করা হয়। এর স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়, একটি ঘটনাকে গণহত্যা বলার আগে এর পক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট যুক্তি ও প্রমাণ থাকতে হবে। তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টেরবিরোধী দল এর পক্ষে ভোট দেওয়ায় প্রস্তাবটি পাস হয়।
[৫] এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লন্ডনে অবস্থিত চীনের দূতাবাস থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের হতাশাজনক এই মিথ্যা প্রচারণা মেনে নেওয়া যাবে না। এই ঘোষণা চীনের নাগরিকদের জন্য বিশাল অপমান এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পর্কের মৌলিক নিয়মগুলোর স্পষ্টত লঙ্ঘন। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল