মঈন উদ্দীন: [২] প্রখর রৌদ্দুরের উত্তাপে এখনও পুড়ছে প্রকৃতি এরই মাঝে গায়ে মেখে চোখ ধাঁধানো রক্তিম লাল রঙের কৃষ্ণচূড়ার ফুল প্রকৃতিতে আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। এমন কড়া রোদে কৃষ্ণচূড়ার আবীর নিয়ে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল রূপে। যেন প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়ার রঙিয়ে আগুন জ্বলছে। রাজশাহীর রুয়েট, রাবিসহ নগরীর বিভিন্ন পথ প্রান্তরে আগুনঝরা কৃষ্ণচূড়ার সমাহার।
[৩] দূর থেকে দেখলে মনে হয়, গ্রীষ্মের রৌদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়েছে ফুটেছে সবুজ চিরল পাতার মাঝে এই রক্তিম পুষ্পরাজি, যেন আগুন জ্বলছে। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে প্রচণ্ড তাপদাহে ওষ্ঠাগত পথিকের মনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয়। পথচারিরা অবাক বিস্ময়ে, পুলকিত নয়নে উপভোগ করেন কৃষ্ণচূড়ার এই অপরুপ সৌন্দর্য্য।
[৪] কৃষ্ণচূড়াকে সাধারণত আমরা এসব অঞ্চলে লাল রঙেই দেখতে খুব বেশি অভ্যস্ত। তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, কৃষ্ণচূড়া তিন রঙের হয়। লাল, হলুদ ও সাদা। কম হলেও হলদে রঙের কৃষ্ণচূড়া চোখে পড়ে। তবে সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে না বললেই চলে। তিন রঙের কৃষ্ণচূড়া গাছই উঁচু এবং অনেকটা জায়গা জুড়ে এরা বিস্তার ঘটায়। বসন্ত শেষে ও গ্রীষ্মের রৌদ্রের দাহের মধ্যে প্রায় একই সময়ে তিন রঙেরই কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে প্রকৃতিকে নতুন রূপ দেয়।
[৫] স্থানীয় আব্দুল্লাহ্ খালিদ অমি বলেন, এমন গাছের নিচে দাঁড়ালে মনে হয় কোনো রক্তিম বর্ণে উৎসব চলছে। মাথার উপর লাল সবুজের চাদোয়া, পায়ের নীচে ঝরা ফুলের বিছানা। যখন কৃষ্ণচূড়া ফোটে তখন এর রুপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরাও চলার পথে ক্ষণিক থমকে তাকান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ