রাজু আহমেদ রমজান: [২] সােনাধান গােলায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনামগঞ্জের কৃষকরা। ধান মাড়াই শেষে শুকানোসহ পক্রিয়াজাত করণের যাবতীয় কাজ করছেন কৃষাণীরাও। এক ফসলি বােরো আবাদে আশানুরূপ ফলন হওয়ায় যেন ঈদ আনন্দে মাতােয়ারা। তবে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ আছে তাঁদের।
[৩] শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়াইন হাওর, চুনখলা হাওর এবং পালই হাওর ঘুরে কৃষক-কৃষাণীদের সঙ্গে আলাপকালে উঠে এসেছে এ তথ্য।
[৪] জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চলতিবছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে বােরাে আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট বিভাগের। এ রিপাের্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ৫০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে দাবি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে সপ্তাহখানেক সময়ের মধ্যে নিরাপদে সােনাধান গােলায় উঠবে এমন আশাবাদ সংশ্লিষ্ট বিভাগের।
[৫] উপজেলার ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম, তরং গ্রামের কৃষক ময়নুল ইসলাম তালুকদার ময়না, একই গ্রামের মুসতাকুল তালুকদার কলাগাঁও গ্রামের কৃষক মােরশেদ আলম সাদ্দামসহ অনেকেই জানিয়েছেন, পশ্চিমা বাতাসে যৎসামান্য ক্ষতি হলেও আশানুরূপ ফলন হওয়ায় বেজায় খুশি তাঁরা। কৃষিবান্ধব সরকার ধানের সন্তােষজনক মূল্য নির্ধারণ করে দিবেন এমন প্রত্যাশা তাঁদের।
[৬] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা শাখার উপ-পরিচালক ফরিদুল হাসান বলেন, হাওরাঞ্চলে প্রায় অর্ধেক ধান কাটা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নিরাপদে ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষক।
[৭] জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা আমাদের জানিয়ে দেয়া হবে। নির্দেশনার পর থেকে ধান ক্রয় করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি