সাইফুল আরিফ:[২] ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আট বছর ধরে শয্যাশায়ী হয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার জৈষ্ঠ্য আওয়ামী লীগ নেতা কারি শামছুদ্দিন।তিনি বর্তমানে মোহনগঞ্জ তার ছোট পাইকুড়া গ্রারে বাড়িতে রয়েছেন। শামছুদ্দিন এক সময় আওমামী লীগের সক্রিয় নেতা ও জেলা উলামা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
[৩] এতটা বছর ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হওয়ার পরও দলের কোন নেতা-কর্মী দেখতে না যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।জানা গেছে, ১৯৬২ সালে তিনি আওয়ামী লীগের যোগ দেন। পরে ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহচর আ. মমিন তাকে বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাতের জন্য ঢাকায় পাঠান। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি নেত্রকোনার জেলায় ওলামা লীগ গঠন করে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
[৪] পরবর্তীতে মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে প্রথমে কোষাধ্যক্ষ ও পরে সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে কারি শামছুদ্দিন মহেশ খলা ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় নয় মাস অতিবাহিত করে দেশে ফেরেন।তবে তার ক্ষোভ, তার সাথে যারা সেবায় নিয়েজিত ছিলেন তারা প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেলেও তিনি পাননি ।
[৫] শামছুদ্দিন আক্ষেপ করে বলেন, মহেশ খলা ক্যাম্পে কাজ করার প্রমাণাধি আছে, আমি আমার উপযুক্ত সম্মান পেতে চাই।তিনি বলেন, দলের দুর্দিনে আমি সব সময় পাশে ছিলাম বর্তমানে আমি ব্রেন স্ট্রোসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছি কিন্তু আমার পাশে আজ দলের কোন নেতা-কর্মী নেই । কেউ দেখতেও আসে না কোনদিন।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন