সমীরণ রায়: [২] বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, অনিয়ন্ত্রিত বেসরকারি অনেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্দয়ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের টাকা। ভুয়া ল্যাব টেস্ট, রিপোর্ট ও ভুল চিকিৎসা দিয়ে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর মুখে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ বরাবরই অবহেলিত। করোনাকালে দেশের গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থা পড়েছে মুখ থুবড়ে। জমজমাট হয়ে উঠেছে চিকিৎসা বাণিজ্য। মোক্ষম এই সুযোগের ব্যবহার করছে হাসপাতাল মালিকরা। ঠগবাজি, প্রতারণা কত প্রকার ও কি কি তার প্রমাণ রেখে চলেছে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে সম্পর্কিতরা।
[৩] তারা বলেন, সম্প্রতি ইমপালসের সাধারণ বেডে একজন রোগীর চিকিৎসার জন্য ৬ দিনের বিল ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা কিসের ইঙ্গিত বহন করে? তারা কি চিকিৎসার করাচ্ছেন, নাকি রোগীদের জিম্মি করে লুট করছেন এই প্রশ্ন জনমনে সৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনের হাসপাতালগুলো চিকিৎসার নামে জনগণের পকেট কাটছে। এই হাসপাতালগুলোর মালিকরা গণমাধ্যমে নীতিবাক্য শোনান। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বেসরকারি অনেক হাসপাতালেই মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও নেই তাদের।
[৪] তারা আরও বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো কোভিড চিকিৎসা দিলে তারা তাদের মতো করেই বিল করবে। অস্বাভাবিক বিল করলে তা চ্যালেঞ্জ করারও কোনো উপায় নেই। জনগণ প্রতিদিন শোষণের শিকার হয়। তেজগাঁওয়ের সরকার-নির্ধারিত বেসরকারি করোনা ডেডিকেটেড ইমপালস হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়েও সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।