সমীরণ রায়: [২] ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, গত বছর হাওরের ধান কাটার জন্য যেভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, এ বছরও সেভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়েছে। এ মুহূর্তে হাওরে ধান কাটার জন্য শ্রমিকের কোনো সংকট নেই। একই সঙ্গে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ পর্যাপ্ত ধান কাটার যন্ত্র হাওরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরের প্রায় ৪০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।
[৩] তিনি বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এ বছর ধান-চালের উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। বেশি জমি চাষের আওতায় আনা, উন্নত জাতের ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। বীজ, সারসহ নানা প্রণোদনা কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। হাইব্রিড ধানের বীজ সহায়তা বাবদ ৭৬ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীরা করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কঠোর পরিশ্রম করেছেন, কৃষকের পাশে থেকেছেন। নতুন উন্নত জাতের ধান চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করেছেন, প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছেন।
[৪] তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে। এ বছর বোরোতে ৯ থেকে ১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।
[৫] বৃহস্পতিবার অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ধান কাটায় এগিয়ে আসতে যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান মন্ত্রী।