শিরোনাম
◈ মুগদায় ডিএসসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় কিশোর নিহত ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা ◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৭ দুপুর
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রমজানে বেড়েছে কুমিল্লার মুড়ির গ্রামে ব্যস্ততা

ডেস্ক রিপোর্ট: রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার মুড়ির গ্রামে ব্যস্ততা বেড়েছে। কুমিল্লার বরুড়ার উপজেলার লক্ষীপুর গ্রাম। এখন সেই গ্রামে চলছে রমজান মাসের জন্য মুড়ি ভাজার ব্যস্ততা। এ গ্রামে শত বছর ধরে মুড়ি ভাজা হয়। হাতে ভাজা মুড়ির জন্য এ গ্রাম প্রসিদ্ধ। চৈত্রের খরতাপ। তার মধ্যে দুপুরে কাঠের চুলা জ্বালিয়ে মুড়ি ভাজছেন নারীরা। কেউ মুড়ি চালুন দিয়ে পরিস্কার করছেন। পুরুষরা মুড়ি বস্তায় ভরে মুখ সেলাই করছেন। নয়া দিগন্ত

বৃহম্প্রতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় লক্ষীপুর গ্রামের প্রদীপ পালের বাড়িতে এ দৃশ্য দেখা যায়। এমন দৃশ্য দেখা যাবে গ্রামের ৫০ পরিবারে। কারো কথা বলার সুযোগ নেই। পরিবারের ছেলে বুড়ো সবাই ব্যস্ত। গ্রামের পাশে পিকাপ ভ্যানে ও ট্রাকে তুলে দেয়া হচ্ছে মুড়ির বস্তা। সেগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেটে।

প্রদীপ পাল বলেন, তারা সারা বছর মুড়ি ভাজেন। হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা রয়েছে। হাতে ভাজা মুড়িতে শুধু লবণ পানি দেয়া হয়। এগুলো খেতেও সুস্বাদু। দাম একটু বেশি হলেও সচেতন মানুষ হাতে ভাজা মুড়িই বেশি খোঁজ করেন। কুমিল্লায় আগে বরুড়ার রামমোহন বাজার সংলগ্ন গোপালনগর ও দাদিসারে বেশি মুড়ি ভাজা হতো। সেখানে এখন মুড়ি ভাজা কমে এসেছে। শুধু লক্ষীপুরে বেশি ভাজা হয়। রোজার সময় তাদের মুড়ির চাহিদা বেশি। তাই ব্যস্ততাও বেশি। তারা এখন গিগজ ধানের মুড়ি ভাজছেন। আরো পরে ভাজবেন টাবি ধানের মুড়ি।

ওই বাড়ির আরেক মুড়ি উৎপাদনকারী লতাবর্মণ পাল বলেন, গ্রামের ৫০ পরিবার প্রতিদিন প্রায় ৯০ বস্তা মুড়ি ভাজেন। প্রতি বস্তায় ৪৫ কেজি মুড়ি থাকে। তারা পাইকারি প্রতি কেজি ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা বিক্রি করেন। খুচরা বাজারে তা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কুমিল্লার রাণীর বাজারের মুদি দোকানদার জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, আমরা মিলে তৈরি ও হাতে ভাজা মুড়ি বিক্রি করি। তবে ক্রেতারা সবচেয়ে বেশি চান হাতে ভাজা মুড়ি। ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে লক্ষ্মীপুর গ্রাম থেকে হাতে ভাজা মুড়ি আনতে হয়।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার ডিজিএম মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা ওই গ্রামের মুড়ি উৎপাদনকারীদের বিষয়ে খোঁজ নেবো। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আরো দক্ষ করা যায় কিনা সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়