ইমরুল শাহেদ: লেখক, নাট্যকার ও অভিনেতা আবুল হায়াত দীর্ঘ ২২ দিন পর কোভিডমুক্ত হয়েছেন। তিনি কোভিড উপসর্গ নিয়ে গত ৩১ মার্চ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হার্টের সমস্যা থাকায় করোনা পজেটিভ আসার পরে ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে দুই দফায় প্লাজমা দেওয়া হয়। তার মেয়ে নাতাশা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আপনাদের সকলের দোয়ায় আব্বুর করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ আছেন। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।’ এদিকে অভিনেতা আলমগীর কোভিড উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার ছয়দিন আগে তিনি করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন। তার স্ত্রী কিংবদন্তী গায়িকা রুনা লায়লা এই এক সময়ের জনপ্রিয় তারকা আলমগীরের দ্রæত সুস্থতার জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন। পরিচালক ছটকু আহমেদসহ চিত্রকর্মীরা তার সারাক্ষণ খোঁজ-খবর রাখছেন। জনপ্রিয় নায়ক ও সংসদ সদস্য ফারুক আছেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে।
এর বেশি কোনো তথ্য দিচ্ছে না তার পরিবার থেকে। এছাড়া কোভিডাক্রান্ত হয়ে একের পর এক তারকা পতনে আতংকিত হয়ে পড়েছে সাংস্কৃতিক অঙ্গন। ইতোমধ্যে কোভিডাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কবরী, আলী যাকের, কেএস ফিরোজ, ইন্দ্রোমোহন রাজবংশী, মিতা হক, জানে আলম, সাদেক বাচ্চু, এসএম মহসিন, ফরিদ আহমেদ, শফিউজ্জামান লোদী, সাজেদুল আউয়াল ও রানা হামিদ। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা নিয়ে কাজ করাদের মধ্যে এই ১১ জন না থাকায় একটা বন্ধ্যাত্ব যে নেমে আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘এই ক্ষতি একেবারেই পূরণ হওয়ার নয়।’ কিন্তু কোভিড তো এখনো থেমে যায়নি। আর কতটা ক্ষতি হতে পারে এ ব্যাপারে কেউই নিশ্চিত নয়। আবুল হায়াতের মেয়ে বলেছেন, তার পিতা শিগগিরই বাসায় ফিরবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেউ যদি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হন, তাহলে তিনি যে আর আক্রান্ত হবেন হবেন না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন একটা চরম অনিশ্চয়তা নিয়েই সকলকে চলাফেরা করতে হচ্ছে।