আনোয়ার হোসেন: [২] গাইবান্ধায় বেশ কয়েক দিন যাবৎ বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্কুলছাত্রীর অপহৃত নামে শিরোনাম সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। স্কুল ছাত্রীর দাবি উক্ত প্রকাশিত সংবাদ গুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার পরিবারের সদস্যরা করাচ্ছেন।
[৩] এরই মধ্যে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে সিয়ামনির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে সিয়ামনি বলেন .আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি এক জন সাবালিকা মেয়ে আমার বোঝার ক্ষমতা হয়েছে। আমার পরিবারের লোকজন আমাকে বোঝা মনে করত। সব সময় খারাপ আচরণ করত। অন্য ছেলের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছেন। চার বছর প্রেম করার পর আমার ভালোবাসার মানুষ মেহেদী হাসান সিয়ামের সাথে স্বেচ্ছায় এসে আমি বিয়ে করছি। সিয়ামের পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। এগুলো না করার অনুরোধ জানান তিনি।
[৪] উপরোক্ত কথা গুলো স্কুলছাত্রী সিয়ামনির। তিন মিনিট ঊনচল্লিশ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আমাদের গাইবান্ধা পেজে অলি আহাদ নামে এক ব্যক্তি পোষ্ট করলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
[৫] ভিডিওতে সিয়ামনি আরো বলেন, আমার পরিবার তো দোয়া করবে না । আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমি আগামী দিন গুলো দুই জনে ভালোভাবে কাটতে পারি।
[৬] এদিকে স্কুল ছাত্রী সিয়ামনি অপহৃত হয়েছে মর্মে, গাইবান্ধা সদর থানায় সিয়ামনির ভগ্নিপতি মোঃ আল আমিন গত ১৫ এপ্রিল রাতে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, যাহার নং ৭৯৮ ।
[৭] পরবর্তীতে সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হয়। এরপর ১৮ এপ্রিল রোববার রাতে থানার ওসি মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে স্কুল ছাত্রী উম্মে হাবিবা সিয়ামনিকে তিনদিন পর পলাশবাড়ী পৌরসভার জামালপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় বাবলা মিয়া নামে এক যুবককে আটক করা হয়। এ ঘটনায় আজ সোমবার তথাকথিত অপহৃতাকে আদালতে হাজির করে এবং তার জবাববন্দি গ্রহণ করা হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :