আনিস তপন ও তাপসী রাবেয়া: [২] সোমবার (১৯ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
[৩] চলমান কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে সোমবার সকালে বিবৃতি দেয় দেশে করোনা বিস্তার রোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটির বিশেষজ্ঞরা।
[৪] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে অংশ নেওয়া মন্ত্রিপরিসদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে বর্তমান চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধে আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠক থেকে। তবে প্রধানমন্ত্রী যদি বিদ্যামান শর্ত সমূহ সংযোজন-বিয়োজন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সে অনুয়ারি সার্বিক চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
[৫] এই ৭ দিনে শষে হওয়ার পরবর্তী সপ্তাহের মাঝামাঝি যেসব ক্ষেত্রে মানুষের অংশগ্রহণ বেশি সেই জায়গায় বিধিনিষেধ ক্রমশ শিথিল করা হতে পারে। এই প্রজ্ঞাপনটি জারি হতে পারে ২৫ এপ্রিল।
[৬] বৈঠকে আক্রান্তের হার কমছে সেটা চলমান লকডাউনের কারণেও হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে মৃত্যুর হার কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে করোনায় মৃত্যু যাদের হয়েছে তাদের অধিকাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। ইতোমধ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ডিএনসিসি ১০০০ বেডের হাসপাতারে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এটা সেনাবহিনী পরিচালনা করবে।
[৭] এখন সরকারি কোন হাসপাতালে আইসিউ বেড খালি না থাকলেও নতুন এই হাসপাতাল তৈরি করায় গুরুতর আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে অনেকটা সহায়ক হবে। এছাড়াও আক্রান্তদের হার যদি আরো বৃদ্ধি পায় সেক্ষেত্রে সেনাবহিনীর সহায়তায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
[৮] বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্তে পরীক্ষার সুযোগ সুবিধা আরো বাড়ানো হবে। মাস্ক পরিধানের বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।এছাড়া রাস্তায় বের হওয়া সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়প্রত্র বাধ্যতামূলক সঙ্গে রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখাতে হবে।