শরীফ শাওন: [২] জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) শিক্ষাক্রম সদস্য প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, মে মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য যে পাঠপরিকল্পনা করা হয়েছিলো তা আর থাকছে না।
[৩] মশিউজ্জামান জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কোন ধারণা না থাকায় নতুন করে কোন পরিকল্পনাও তৈরি করা হচ্ছে না। কবে এবং কতদিনের জন্য খোলা যেতে পারে তা নিয়েও শংসয় তৈরি হয়েছে। কত সময় ক্লাস করানো যাবে তার উপর নির্ভর করে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়ে থাকে।
[৪] তিনি বলেন, এসএসসি’র ৬০ দিনের এবং এচইএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮০ দিনের পাঠপরিকল্পনা অপরিবর্তিত রয়েছে। এ নিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে মাসেই বা যখনই খোলা হোক পাঠদানের পরই পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। মশিউজ্জামান বলেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত থাকতে পারে যে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাজের মধ্য দিয়েই অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান সম্পন্ন করতে হবে।
[৫] প্রাথমিক শিক্ষাক্রম সদস্য ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, পরিবর্তন আসছে প্রাথমিকের পাঠপরিকল্পনায়, এ বিষয়ে কাজ করছে এনসিটিবি এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (ন্যাপ)। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে মে মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে শ্রেণিপ্রতি সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও করোনা সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে।
[৬] রিয়াজুল হাসান জানান, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে একদিন স্কুল শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে ওয়ার্ক সিট দেবেন। পরবর্তী সপ্তাহে তা জমা নিয়ে পুণরায় নতুন ওয়ার্কসিট দেবেন। প্রাথমিক বইয়ের প্রতি অধ্যায় শেষে বা বইয়ের মধ্যে যে ওয়ার্ক সিট দেওয়া আছে সেগুলো ফটোকপি করে অভিভাবকদের দেওয়া হবে।
[৭] এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যে ক্লাস্টার এবং সাব ক্লাস্টার আছে, প্রতিটি ক্লাস্টারের মধ্যে শিক্ষকরা তাদের ক্যাচম্যান্ট এরিয়া ভাগ করে নিতে পারেন। অথবা প্রতি শ্রেণির শিক্ষকরা শিক্ষার্থী সংখ্যা ভাগ করে এ কাজ করতে পারেন।