ইসমাঈল ইমু: [২] রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[৩] গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশীদ জানান, মোহাম্মদপুর থানায় ২০২০ সালে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার মামুনুলকে আদালতে পাঠানো হবে। ডিএমপির পল্টন, মতিঝিল থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
[৪] ডিসি হারুন বলেন, আমরা এই মামলাটি তদন্ত করছিলাম। তদন্তে মামুনুল হকের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। সে জন্য তাকে গ্রেপ্তার করেছি। মামুনুলকে গ্রেপ্তারে বাধা এসেছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, কোনো বাধা আমরা পাইনি। তাকে পুলিশ আগে থেকেই নজরদারিতে রেখেছিল। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন মামুনুল। সংবাদ সম্মেলনের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পর বিকেল ৩টার দিকে তাকে তেজগাঁও থানায় কস্তান্তর করা হয়।
[৫] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকান্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয় মামুনুলের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তান্ডবসহ তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে।
[৬] আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, মামুনুল রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। এ জন্যই পরিকল্পিতভাবে একের পর এক সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রিসোর্টকান্ডের পর থেকে হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় এ নেতাকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।