মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহীতে কোভিড১৯ দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ে এসএমএস না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
[৩] রেজিস্ট্রেশন ফরমে দ্বিতীয় ডোজের তারিখ দেওয়া থাকলেও কনফার্মেশন এসএমএস না পাওয়ায় টিকা দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। আবার এসএমএস পেলেও কেন্দ্র থেকে ঘুরিয়ে দেয়ার নজির আছে। ফলে রোজা থেকে তীব্র রোদ-গরম উপেক্ষা করে নির্ধারিত দিনে তারা টিকাদান কেন্দ্র গিয়ে হয়রানি হচ্ছেন।
[৪] টিকা গ্রহণেচ্ছুদের অভিযোগ, প্রথম ডোজ দেওয়ার সময়ই দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার তারিখ রেজিস্ট্রেশন ফরমে লিখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসএমএস জটিলতায় নির্ধারিত দিনে টিকা নিতে গিয়ে শত শত মানুষ বিড়ম্বনার মুখে পড়ছেন। প্রতিদিন এর সংখ্যা বাড়ছেই।
[৫] তবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের টিকাকর্মীরা বলছেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের গাফেলাতির কারণেই টিকা গ্রহণেচ্ছুদের এমন বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে টিকাদান কার্যক্রম নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এগোচ্ছে না বলেও জানাচ্ছে তারা।
[৬] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহীতে তিনটি কেন্দ্রে টিকাদান চলছে। রাজশাহী পুলিশ লাইন হাসপাতাল, সেনা হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার করে মানুষ টিকা দিচ্ছেন। যদিও রাজশাহীতে প্রতিদিন টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে তিন হাজারের বেশি।
[৭] জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেসদৌস বলেন, এসএমএস না পেলে কাউকে টিকা দেওয়া যাবে না বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা রয়েছে। তবে এসএমএস পেলে কাউকে ফেরত পাঠানোর কথা না। কেন পাঠানো হয়েছে সেটি তিনি দেখবেন।
আপনার মতামত লিখুন :