শিরোনাম
◈ নিউইয়র্কে জোহরান মামদানির জয়: কেন ক্ষুব্ধ মোদি সমর্থকেরা? আল–জাজিরার প্রতিবেদন ◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০১:০৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা, আসামি অজ্ঞাত সাড়ে তিন হাজার

রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শিল্প গ্রুপ এস আলমের মালিকানাধীন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের আহাজারি শেষ হওয়ার আগেই`হামলাকারী' শ্রমিকদের নামে দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে।

[৩] বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ একটি আর পুলিশ একটি মামলা করে। দুই মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অন্তত অজ্ঞাত সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

[৪] রোববার (১৮ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। জানা গেছে, থানার এক এস আই বাদি হয়ে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা, হামলার অভিযোগ দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত আড়াই হাজার জনকে আসামি করা হয়।

[৫] অন্যদিকে এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের চীফ কোর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আজ্ঞাত আরও ১ হাজার ৫০ জনকে আসামি করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের একটি মামলা করেন।

[৬] বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানা ওসি শফিউল কবীর বলেন, মামলা হয়েছে এবং তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। শ্রমিক নিহত ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শনিবার থেকে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রয়েছে। চীনা নাগরিকরা নিরাপদে রয়েছে।

[৭] সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলেও জানান বাঁশখালী থানার ওসি।

[৮] এরআগে গত শনিবার ১৭ এপ্রিল সকাল থেকে ১২ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ডাকে বিদ্যুৎ নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। আন্দোলন বেলা পৌনে ১২টার দিকে উত্তপ্ত হয়ে উঠে যখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের জোর করে দমাতে যায়।

[৯] এরপরই শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশও তাদের ওপর গুলি চালায় এতে ঘটনাস্থলেই চারজন ও চমেক হাসপাতালে একজন নিহত হয়।

[১০] পুলিশ সদস্যসহ আহত হয় অন্তত আরও ৩০ জন। শনিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের এবং পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসনের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে এবং পুলিশের তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়