আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] দুই প্রতিবেশির বিরোধীতার কারণে এখনও সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের মহিসোপান। ফলে সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ এখনও অনিশ্চিত। শুক্রবার জাতিসংঘের মহিসোপান নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে (সিএলসিএস) বাংলাদেশের দাবির বিরোধিতা করেছে ভারত।
[৩] দেশটি কমিশনকে অনুরোধ করেছে, যেনো বাংলাদেশের দাবি কোনওভাবেই বিবেচনা না করা হয়। জানুয়ারিতে বাংলাদেশের দাবির ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ দেয় মিয়ানমার। অবশ্য ভারতের মতো বাংলাদেশের দাবির প্রতি আপত্তি জানায়নি তারা। বাংলাদেশ প্রাপ্য মহিসোপান থেকে নিজেদের অংশ দাবি করছে উভয় দেশ।
[৪] সিএলসিএস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভারতের আপত্তিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ভূখণ্ডের যে বেসলাইনের ওপর ভিত্তি করে মহিসোপান নির্ধারণ করেছে, তার মাধ্যমে ভারতের মহিসোপানের একটি অংশ দাবি করা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে যে ‘গ্রে এরিয়া’ রয়েছে সেটির বিষয়ে বাংলাদেশ কোনও তথ্য দেয়নি। ’
[৫] গ্রে এরিয়া বঙ্গোপসাগরের একটি ছোট অংশ। সেখানকার পানির মধ্যে যে সম্পদ রয়েছে সেটির মালিক ভারত। কিন্তু মাটির নিচে যে খনিজ পদার্থ আছে সেটির মালিক বাংলাদেশ। এই অংশের পরিমাণ প্রায় ৯০০ বর্গ কিলোমিটার।
[৬] মহিসোপান বা কন্টিনেন্টাল শেলফ হলো সাগরে নিমজ্জিত মূল ভূখণ্ডের বর্ধিত অংশ। এটির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, কোনও দেশের সমুদ্রসীমা এবং সমুদ্রসম্পদ আহরনের অধিকার। দেশের সমুদ্র নিরাপত্তার সঙ্গেও এই বিষয়টি জড়িত।
আপনার মতামত লিখুন :