আতাউর অপু: দেশে লকডাউনের ৩য় দিন গেলো। প্রথম দিন আমি কাজের ফাঁকে ঢাকা শহর পুরাটা ঘুরলাম। দেখে খুবই ভালো লাগলো যে কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে দেশে লকডাউন। প্রতিটি থানার শেষ ভাগে পুলিশের চেকপোস্ট আর কঠোর নিরাপত্তা। অযথা বা অকারণে কেউ ঘর থেকে বের হলেই মামলা খাচ্ছে, নয়তো জরিমানা। বেশিরভাগ মানুষই ঘর থেকে বের হয়েছে লকডাউনে দেশে কী হচ্ছে তা দেখার জন্য।
কিন্তু প্রথমদিনের পর আর কেউই মানছে না লকডাউন। দিনের বেলায় কঠোর ভাবে লকডা্উন আর রাতের বেলায় দেখলাম একটাও চেকপোস্ট নেই। লকডাউন কি শুধু দিনের জন্য, রাতের জন্য না?
লকডাউন মানেই তো খুবই জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারবেন, তা ছাড়া নয়। অফিস বন্ধ, গাড়ি চালাচল বন্ধ। কেউই ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না আর শহরের বাইরে থেকেও কেউ ঢাকায় আসতে পারবে না।
কিন্তু এবার দেখি গণপরিবহন বন্ধ আর অফিস খোলা। এর মানে কী? যদি অফিস খোলা থাকে আর গাড়ি বন্ধ থাকে তাহলে মানুষ অফিস করবে কীভাবে? ঢাকার বাইরে থেকে মানুষ ঢাকায় আসছে আবার ঢাকা বাইরেও যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে সঙ্গে মহামারিও ঢাকার বাইরে যাচ্ছে, আবার আসছেও।
গতবারের লকডাউনে দেখেছিলাম, অফিস বন্ধ,গাড়ি চলাচল বন্ধ,পাড়া-মহল্লায় মানুষ নেই। আর পুলিশ মহল্লায় মহল্লায় টহল দিচ্ছে। মানুষ ঘর থেকে বের হলে পুলিশের লাঠির বাড়ি।
এবার দেশে লকডাউনের কোন চিহ্নই নেই। ২য় ও ৩য় দিন দেখলাম রাস্তায়, পাড়া-মহল্লায় মানুষের মিছিল। কেউ কাজে বের হয়েছে আর বেশির ভাগ মানুষই বের হয়েছে অকারণে, ঘুরতে-বেড়াতে। প্রাইভেটকার,মাইক্রো,সিএনসি নিয়ে মানুষ বের হচ্ছে ঘুরতে। রাস্তায় গাড়ি আর মানুষের ভীড়।
এখন এলাকা, পাড়া-মহল্লায়ও মানুষ অলিতে-গলিতে জড়ো হয়ে আড্ডা দিচ্ছে। আর দোকানপাট খোলা থাকছে রাত ১০-১২টা পযন্ত। নেই পাড়া-মহল্লায়ও পুলিশের টল। এর কোন মানে আছে? লেখক: সাংবাদিক