রাশিদুল ইসলাম : রিবাতুল ইসলাম পড়াশুনা করছেন ক্লাস নাইনে। কোচিংয়ে যাওয়ার পথে তার সঙ্গী ছিল ক্যামেরা। স্কুল বন্ধ। তাই সখের ফটোগ্রাফি করে সে। এরই মধ্যে মায়ের স্মার্ট ফোন দিয়ে সখের ফটোগ্রাফিতে তার হাতে খড়ি। এরই মধ্যে ছবি প্রতিযোগিতায় এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সে। গেটি ইমেজের সদস্য হয়ে গেছে। চাচা মহিউদ্দিন সাইফুল্লাহর কাছ থেকে নাইকন ক্যামেরা পেয়েছে সে। করোনা ভ্যাকেশনে সেই ক্যামেরা তার নিত্যসঙ্গী। এ চারটি ছবিতে করোনাকালে যাপিত জীবনের এক ধরনের অক্ষমতা বা সেই অক্ষমতাকে হটিয়ে মানুষের চিরন্তন এগিয়ে যাওয়ার আভাস পাওয়া যায়।
‘স্ট্রিট ফটোগ্রাফির’ এসব ছবির একটিতে মাস্ক পড়ে দোকানে কেনাকাটার ভিড় দেখা যায়।
আরেকটি ছবিতে এক নারী বসে আছেন তার ছোট দোকানটিতে। ক্রেতা নেই। ক্রেতার পথ পানে চেয়ে থাকা দোকানি নারীর অবয়ব ধরা পড়েছে এ ছবিতে।
আরেক দোকানি তো ক্রেতার অভাবে ক্লান্ত মনে ঘুমিয়ে পড়েছেন। বেচাকেনা না থাকলে দোকানির মাথায় হাত দিয়ে ঘুমানো ছাড়া আর কিইবা করার আছে।
তবে ভ্যানে বসে দারুন এক ভঙ্গিতে মোবাইলে কথা শুনছেন আরেক ব্যক্তি। গালে লাল জামা যেন করোনাকালের দুঃখ কষ্টের প্রতীক। মুখে বিস্ময় আর হতবাক হয়ে ওঠার প্রতিচ্ছবি। কে যানে আমাদের এমন হতবাক পরিস্থিতি মহামারীকালে আর কতক্ষণ বাকশুণ্য করে রাখবে।
আপনার মতামত লিখুন :