শিমুল মাহমুদ: [২] সিটি স্ক্যান করাতে রাজধানীর গুলশানের এভারকেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সিটি স্ক্যান রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে তার পরবর্তী চিকিৎসা। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাও লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
[৩] এর আগে বিকেলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক তিন সদস্যের একটি দল স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
[৪] চিকিৎসকদের দলনেতা ডাক্তার এফ এম সিদ্দিকী তখন বলেন,ম্যাডামের আজকে সেভেন ডে। কোবিডের পরিভাষায় ম্যাডাম এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে এন্ট্রি হচ্ছে। আমি আগেও বলেছি যে, কোবিডের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। কোবিডের যত সাবধানতা, যত জটিলতা সেগুলো সাধারণত: সেকেন্ড উইকে হয়। সেজন্য আমরা আরেকটু সাবধানতা অবলম্বন করতে চাই।”
[৫] উনার সব পরীক্ষা করা হয়েছে। শুধু সিটি স্ক্যানটা করানো হচ্ছিল না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, খুব দ্রুত স্বল্প সময়ের মধ্যেই সিটি স্ক্যানটা করিয়ে ফেলবো। এছাড়া উনার আর সব যেমন বায়ো কেমিক্যাল প্যারামিটারস, ফিজিক্যাল স্ট্যাটাস, অক্সিজেন স্যাচুরেশন এবং এপেটাইট, পালস, ব্লাড সার্কুলেশন অন্যান্য সব দিকে উনি- আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালো আছে।”
[৫] সিটি স্ক্যান কোন হাসপাতালে করানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ আমরা কোথায় সিটি স্ক্যান করাব তার ব্যবস্থাও আমরা করে রেখেছি। যখন করব তখন আপনারা জানতে পারবেন।”
[৬] এফএম সিদ্দিকী বলেন, ‘‘ কোভিডে কখনোই আপনি আগে থেকে বলতে পারবেন না কন্ডিশন কেমন হবে। এটা খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল একটা রোগ। তবুও আমরা খুব দ্রুত দ্রুত সিটি স্ক্যান করিয়ে ফেলবো খুব দ্রুত।”
[৭] আমরা যদি সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে মনে করি যে, বাসায় রেখে চিকিতসা করাটা উনার জন্য ভালো হবে তাহলে আমরা বাসায় রাখব। আর সিটি স্ক্যান দেখে যদি মনে করি না আমরা ২/৩ দিনে জন্য বা কয়েকদিনের জন্য উনাকে হাসপাতালে অবজারভেশনে রাখা দরকার-আমরা সেটাও করব। আমাদের ডিসিশনটা নির্ভর করবে সিটি স্ক্যানের রিপোর্টের উপরে।”