নিউজ ডেস্ক: খুলনার কয়রা উপজেলার গোবরা গ্রামের মৌয়াল সিরাজুল ইসলাম সরদার বাঘের হামলায় নিহত হয়েছেন এমন খবর গত মঙ্গলবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। কিন্তু বুধবার (১৪ এপ্রিল) সিরাজুল বনবিভাগে উপস্থিত হলে কানাঘুষা শুরু হয়ে যায়। পরে তার মৃত্যুর খবর পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে এমন খবর শুনে তাড়াতাড়ি গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন সিরাজুল। সূত্র: আরটিভি
মৌয়াল সিরাজুল সরদার ফিরে এসেছে শুনে তার কাছের ও দূরের আত্মীয় স্বজনরাও ভিড় জমিয়েছেন বাড়িতে। গ্রামের মানুষ ছাড়াও আশপাশের মানুষও কৌতুহল মেটাতে দল বেঁধে উপস্থিত হচ্ছেন ওই বাড়িতে।
সিরাজ সরদারের বড় মেয়ে সেলিনা খাতুন বলেন, রোববার তারা খবর পান তাদের বাবার নৌকায় বাঘের হামলা হয়েছে। খালেক নামে গ্রামের এক ব্যক্তি এ খবর ছড়ায়। খালেকের বাবাও মধু সংগ্রহে সুন্দরবনে গেছে। যে কারণে খবরটির গুরুত্ব দেয় স্থানীয় মানুষ। এ খবর বনবিভাগকে জানালে তারা সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠায়। এদিকে গ্রাম থেকে একটি দল সুন্দরবনে চলে যায় খবর নিতে। এর মধ্যে সোমবার দুপুরের পর ফেসবুকে তার বাবার মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়ি আনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ফেসবুকের ছড়িয়ে পড়া খবরটিকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদপত্রেও ছেপেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল গফফার ঢালী বলেন, মানুষ গুজব ছড়িয়ে একটি পরিবারকে কোথায় নিতে পারে তার বাস্তব উদারণ সিরাজ সরদারের পরিবারটি। গত কয়েকদিন ধরে তার স্ত্রী ছেলে মেয়েদের কান্নাকাটিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছিল। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে তার লাশ উদ্ধারের জন্য মানুষের কাছে ধর্না দিয়েছিল তারা। গত দু’দিনে না খেয়ে শুকিয়ে গেছে তার স্ত্রী ও সন্তানরা। তিনি গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
সুন্দরবনের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, বাঘের হামলায় মৌয়াল সিরাজ সরদারের মৃত্যুর খবরে সংবাদপত্রে আমার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। যা আদৌ সঠিক নয়। তবে এ কয়েকদিনের গুজবে অনেককেই হয়রানি হতে হয়েছে। এ ধরনের গুজব রটানাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।