সোহাগ হাসান :[২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত আট দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ প্রথম দিনেই সিরাজগঞ্জে শুরু হয়েছে ব্যাপক কড়াকড়ি। বিভিন্ন সড়কে এবং অলিগলিতে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু রিকশা চলাচল দেখা গেছে তবে বেশিরভাগই বাজারের মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত। ফুটপাতের অধিকাংশ পথচারীরাই হয় বাজার করতে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা অথবা হাসপাতালের জরুরি সেবা সংস্থার কর্মীরা।
[৩] বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে পাল্টে গেছে সিরাজগঞ্জ শহরের চিত্র। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় কোনো যানবাহন নেই, দোকানপাট বন্ধ ও ফুটপাতগুলো ফাঁকা। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম, অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী যানবাহনসহ বিশেষ সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
[৪] সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বসানো হয়েছে পুলিশের তল্লাশি চৌকি। গাড়ি থামিয়ে পরিচয় জানছেন তারা। দেখা গেছে, যারা জরুরি সেবার আওতায় কর্মরত তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে, অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
[৫] তবে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন, এস এস রোড, বড় বাজার, চোরাস্তা মোড়, বাহিরগোল গুরের বাজার ও ইবি রোডে কড়াকড়ি থাকলে শহরতলীতে সব দোকান পাট খোলাসহ মানুষ স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কেনাকাটা করছে। এই এলাকায় সড়কের দুই পাশে বসা ফলের দোকানগুলোও অন্যান্য দিনের মতোই দোকান খোলা রেখে ব্যবসা করছে। এগুলো ছিলোই চোখে দেখার মতো।
[৬] তবে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শহরের মোড়ে মোড়ে টহলে দিলেও শহরতলিতে তাদের তৎপরতা চোখে পড়েনি।রিকশা চালক আবুল হোসেন ও জয়নাল সেখ বলেন, কোর্ট এলাকায় বসে আছি দুই ঘণ্টা ধরে। একজন যাত্রীও পায়নি। “কি কমু স্যার। লকডাউন আমাগো পেটে লাথি মারছে। সারাদিনে রোজগার কি হইবো বুইঝা গেছি।
[৭] খামু কি কন?” “কয়েকদিন আগেও লকডাউন ছিলো তবে এতো কড়াকড়ি দেখিনি।”সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সিন্ধ বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারিতে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা মাঠে আছি। পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মাইকিং চলছে, “অযথা কেউ বাসার বাইরে আসবেন না।
[৮] শহরের বিভিন্ন অলিগলির গেইটে তল্লাশী করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসায় থাকুন। মাস্ক পড়ুন।” কেউ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন কিনা সেই খোঁজ নিচ্ছি। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :