শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৪৬ দুপুর
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৪৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ১০ হাজার মানুষের চলাচলের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো

স্বপন দেব:[২] মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে একটি ব্রীজের অভাবে জায়ফরনগর ও পশ্চিমজুড়ী ইউপির প্রায় ১০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছেন। নয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জুড়ী নদীর উপর ওই বাঁশের সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

[৩] প্রতিবছর এলাকাবাসী চাঁদা তুলে সাঁকোটি মেরামত করে কোনমতে চলাচল করেন। সাঁকোটি দিয়ে উপজেলার ২টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ যুগের পর যুগ ভূগান্তি পোয়ালেও এ যেন দেখার কেউ নেই। প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের নিকট থেকে ভুক্তভোগীরা ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাসই পান, কিন্তু বাস্তবে তা স্বপ্নই রয়ে গেছে।

[৪] সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করছেন কয়েকজন শ্রমিক। জানতে চাইলে তারা জানান, এলাকাবাসী চাঁদা তুলে এই সাঁকোটি তৈরী করেছেন। প্রতিবছরই নতুন বাঁশ দিয়ে মেরামত করতে হয়। আমরা কয়েকজন শ্রমিক ৪/৫ দিন ধরে সাঁকোটির মেরামত কাজ করে যাচ্ছি।

[৫] স্থানীয় বাসিন্দা সৌদীআরব প্রবাসী জহিরুল ইসলাম ও নয়াগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মনিরুল ইসলাম জানান, স্বাধীনতা পরবর্তী বহু সরকার আসলেও জুড়ী নদীর উপর ওই সাঁকোর স্থানে অদ্যাবধি একটি ব্রীজ নির্মাণে কেউ উদ্যোগ নেননি।

[৬] আমাদের এলাকার বাসিন্দারা তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-মাদ্রাসায় আসা-যাওয়াসহ তাদের যাতায়াত করতে গিয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিনিয়ত এ সাঁকো দিয়ে শত শত মানুষ পারাপারের কারণে এটি বর্তমানে নাজুক হয়ে পড়েছে। যেকোন সময় ভেঙ্গে দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, বিভিন্ন পেশাজীবি লোকজনকে এ সাঁকোর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে।

[৭] বর্তমানে এলাকাবাসী চাঁদা তুলে এই সাঁকোটি মেরামত করাচ্ছেন। জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মাণ করলে জুড়ী নদীর এপার-ওপারের কয়েক হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হতো। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, প্রতিটি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এখানে ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দেন। কিন্তু অদ্যাবধি তা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে আজও স্বপ্নই রয়ে গেছে।

[৮] স্থানীয় ইউপি সদস্য জমির আলী জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এভাবেই বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন লোকজন। এ সাঁকো দিয়ে অত্রাঞ্চলের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পড়ালেখায় যায়। ফলে, সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকেন উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে হাকালুকি হাওরের শত শত কৃষকের যাতায়াতের রাস্তা এটি। এলাকাবাসী সাঁকোর স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির নিকট জোর দাবী জানাচ্ছেন।

[৯] সাবেক ইউপি মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, হাকালুকি হাওরের ৫/৬ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকরা এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করেন। উক্ত রাস্তায় বিকল্প পথ না থাকায় এ সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা। যে কোন সময় সাঁকোটি ভেঙ্গে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এখানে অবিলম্বে একটি ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়