লিহান লিমা: [২] অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় আহত নাগরিকদের চিকিৎসা দেয়ায় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, সেনাবাহিনী তাদের ফাঁদে ফেলার ছক কষেছে। গার্ডিয়ান
[৩] সম্প্রতি এক বিক্ষোভে এক নারী ও তার স্বামীকে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করলে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এই সময় স্থানীয় কয়েকজন তাদের জানান, কিছু সেনা সদস্য ওৎ পেঁতে রয়েছে। ওই ডাক্তাররা পরে প্রায় ১ ঘণ্টা লুকিয়ে সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। এক উদ্ধারকর্মী দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘যদি আমরা তাকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিতে পারতাম তবে ওই নারী বেঁচে যেতেন।’
[৪] দ্য অবজারভারকে মিয়ানমারের কয়েকজন ডাক্তার বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের নিয়মিত হয়রানি করছে। সংঘর্ষের সময় আহতদের যাতে চিকিৎসা দিতে না পারি সেজন্য সরাসরি আমাদের বাধা দিচ্ছে। সেনাবাহিনী অ্যাম্বুলেন্সেও গুলি জানিয়েছে। হাসপাতাল ও মেডিক্যাল সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দায়িত্ব পালনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন।
[৫] সরকারি ডাক্তারদের তালিকা করে তাদের ওপর নজরদারী করা হচ্ছে। যারা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হচ্ছে। রাতের শিফটে কাজ করার সময় কয়েকজন ডাক্তারকে মেডিক্যাল সেন্টার থেকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইয়াঙ্গুনের এক ডাক্তার বলেন, ‘যদি আপনাকে আজ আটক করা হয় তবে কাল আপনার নির্যাতিত দেহ ফিরে আসবে। এটাই এখন স্বাভাবিক।’
[৬] গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৪৩জন শিশুসহ ৭০২জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :