আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বাংলাদেশ থেকে যাওয়া গৃহকর্মী সাবরিনা দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছে। কারণ, তার আয় অস্বাভাবিক কমে গেছে। যেহেতু তাকে বাড়িতেও অর্থ পাঠাতে হয়, তাই তার নিজের খাওয়ার জন্য অর্থও থাকছে না। আল জাজিরা
[৩] ১০ বছর আগে লেবাননে এসেছিলেন সাবরিনা। তিনি যখন এখানে আসেন এক ডলারের বিনিময়ে ১৫০০ লোবানিজ পাউন্ড পাওয়া যেতো। সাবরিনার মতো গৃহকর্মীরা মজুরি পেতেন লেবানিজ পাউন্ডে। সেটিকে ডলারে পরিণত করে দেশে পাঠাতেন রেমিট্যান্স হিসেবে। তার পরিবার সে অর্থ টাকায় রুপান্তর করে নিতো।
[৪] লেবাননের অর্থনীতি ধসে যাওয়ায় সাবরিনার আয় নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘১৫০০ পাউন্ডে যখন এক ডলার মিলতো, আমি প্রতি ঘণ্টায় ৫ ডলার কামাতাম। ৪ ঘণ্টার শিফটে আমার আয় ছিলো ২০ ডলার। আর এখন পুরো শিফটে আমি ৬০ হাজার পাউন্ড পাই। কিন্তু আমার আয় সব মিলিয়ে ৫-৬ ডলার।
[৫] শুধু গত মাসেই লেবাননের মুদ্রা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ দর হারিয়েছে। ফলে গৃহকর্মীরা বাড়িতে কিছুই পাঠাতে পারছে না। সাবরিনার স্বামী বৈরুতে টেইলরের কাজ করেন। তার আয়ও কমে গেছে। এখন তারা দেশে ফিরতে চান। কিন্তু উড়োজাহাজের টিকেট কেনার অর্থও তাদের নেই।
আপনার মতামত লিখুন :