রাহুল রাজ : [২]ওয়ানডে সিরিজ জয়ে পর চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়ে দাপটের সাথে সিরিজের সূচনা করল পাকিস্তান। জোহানসবার্গে রেকর্ড গড়ে প্রোটিয়াদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারীরা। এরই সাথে বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে (সুপার ওভারে জয় সহ) ১০০ টি ম্যাচ জয়েরও ইতিহাস গড়েছে বাবর আজমের দল।
[৩]রাবাদা-মিলার আর অধিনে বাভুমাকে ছাড়া টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এরপর বড় জুটি গড়েন এইডেন মার্করাম ও অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন।
[৪]অসাধারণ ব্যাটিং করে দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। ৩২ বলে ৫১ রান করে ফেরেন মার্করাম। অধিনায়ক ক্লাসেন করেন ২৮ বলে ৫০ রান। দুজনের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
[৫]জবাব দিতে নেমে নিয়মতি বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম-ফখর জামানরা খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শতততম ম্যাচে খেলতে নেমে ১৩ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজও। তবে একদিক আগলে রাখেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
[৬]অসার ব্যাটিং করে ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ করে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। শেষ দিকে রিজওয়ানকে সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ। শেষ ৪ ওভারে জিততে ৫২ রানে প্রয়োজন হলে ঝড় তোলেন দুজনেই। ১৪ বলে ৩০ রানের ক্যামিও এক ইনিংস খেলে ফেরেন ফাহিম আশরাফ। তবে ৫০ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ১ বল আগেই জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে তবেউ মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। হাসান আলি অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ৯ রানে।
[৭]এরই সাথে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডও গড়ে পাকিস্তান। এর আগে পাকিস্তান সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। হারেরেতে ১৮৭ রান তাড়া করেছিল তারা।
[৮]সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৮৮/৬ (মার্করাম ৫১, ক্লাসেন ৫০; নেওয়াজ ২/২১, হাসান আলি ২/২৮)
পাকিস্তান: ১৯.৫ ওভারে ১৮৯/৬ (রিজওয়ান ৭৪*, আশরাফ ৩০; হেনড্রিকস ৩/৩২, শামসি ২/২৯)
ফলাফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ রিজওয়ান।
আপনার মতামত লিখুন :