শিমুল মাহমুদ: [২] কিশোরগঞ্জে গেলো ৭ দিনে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৪৮, মুত্যু হয়েছে ৩ জনের। সুস্থ্য হয়েছেন ৮৬ জন। সে হিসেবে করোনা আক্রান্ত রোগী ১৩৭ জন। সাপ্তাহিক গড় হিসেবে প্রতিদিন শনাক্ত হচ্ছে ৩৫ জনের বেশি মানুষ। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার প্রায় ১৪ শতাংশ। এরমধ্যে ৬.২৩ শতাংশ রোগী কিশোরগঞ্জ সদর ও প্রায় ৩ শতাংশ ভৈরব এলাকার।
[৩] কিশোরগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগী ৪১৩২ জন। মৃত্যু ৭০ জনের। গত বছরের ১৫ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার প্রথম এক ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৮ জুন সবোর্চ্চ শনাক্ত হয় ৬২ জনের।
[৪] করোনা চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, ঢাকাসহ কিছু বিভাগীয় শহরে করোনার নতুন ভাইরাস সীমিত থাকলেও এখন সারাদেশ এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সরকারের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরও মানুষজন গ্রামে ফিরে গেছেন। যাদের অনেকে সংক্রমণ সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন।
[৫] প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, শহর থেকে এই মানুষগুলো গ্রামে গিয়ে তার নিজ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি পুরো গ্রামকে হুমকির মুখে ফেলছে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সংক্রমণ প্রতিরোধ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
[৬] তিনি বলেন, গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এখনো করোনা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য গ্লাভস বা ফেস মাস্ক ব্যবহার করছে না। হাট-বাজারে দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে। যারা শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছে তাদের নজরদারিতে রাখতে হবে।
[৭] কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগী সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে কোভিড সাসপেক্টটেড রোগীও সংখ্যাও।
[৮] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তথ্য অনুযায়ি, বাংলাদেশের ৩১টি জেলা মধ্যে করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলাও।
[৯] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, এক সপ্তাহ ধরে যেসব জেলায় শনাক্তের গড় হার ১০ শতাংশের বেশি, সেগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ৩১টি জেলায় গড় শনাক্তের হার ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে।