রাশিদুল ইসলাম : [২] মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভকারীদের ধরতে শুক্রবার রাতভর অভিযান চালানোর সময় সেনাদের নির্বিচার গুলিতে মারা গেছে অন্তত ৬০ জন। মৃতদের লাশ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সেনারা। বিক্ষোভ দমনে মিয়ানমার সেনারা মেশিনগান, গ্রেনেড এবং মর্টার ব্যবহার করছে। বিবিসি
[৩] রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে শুক্রবার মিয়ানমারের বাগো শহরে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত গুলি চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। রাজপথে বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেডও ভেঙ্গে দেয় তারা। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
[৪] এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমাদের এলাকার লোকজন জানত ওরা আসবে এবং এর জন্য রাতভর অপেক্ষা করছিল। সেনারা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনকি আমরা মর্টার শেলও পেয়েছি। মেশিরগান থেকে প্রচুর গুলি করা হয়েছে। তাজা গুলির পাশাপাশি সেনারা গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করছিল বলা হচ্ছে।
[৫] এমনকি রাস্তা ফাঁকা করতে সাধারণ পথচারীদের দিকেও গুলি করে সেনারা। নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় গোটা রাত এভাবে হত্যাযজ্ঞ চালানোয় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানান, তারা রাত ৮টা পর্যন্ত মাত্র তিনটি মরদেহ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বাকিগুলো সেনারা নিয়ে গিয়ে জেয়ামুনি প্যাগোডা এবং কাছাকাছি একটি স্কুলে জড়ো করেছে।
[৬] সরকারি রেডিও ও টেলিভিশনের (এমআরটিভি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ১৯ বেসামরিক লোককে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জান্তা সরকার। তাদের বিরুদ্ধে গত মাসে ইয়াঙ্গুনের ওক্কালাপা এলাকায় এক সেনা কর্মকর্তাকে পেটানো এবং নির্যাতন করে আরেক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
[৭] ওই ১৯ আসামির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীও রয়েছে। তারা সবাই বর্তমানে পলাতক।