সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। গত সোমবার থেকে চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না।
[৪] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার আগেই পৃথিবীতে প্রচণ্ড আঘাত হেনেছে দ্বিতীয় ঢেউ। ফলে বিধংসী পরিবর্তনে ভেসে যাচ্ছে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বপ্নগুলো।
[৫] তিনি বলেন, প্রচণ্ড এক ঝড়ের কবলে পড়ে হাত-পা গুটিয়ে শুধু নিয়তি নির্ভর হলে চলবে না। লড়তে হবে। লড়াই করে জিততে হবে। হতাশার কারণ নেই। এ লড়াইয়ে নেতৃত্বে আছেন শেখ হাসিনা। শত বাধা-বিপত্তি মুখেও তিনি হাল ছাড়েন না।
[৬] কাদের বলেন, লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপে বিপর্যস্ত হবে দেশের প্রান্তিক মানুষ। আসুন আমরা সংকীর্ণ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে দল-মত নির্বিশেষে আত্মমানবতার পাশে দাঁড়াই। সরকারের পাশাপাশি সামর্থ্যবানদের সাহায্যের হাত খেটে খাওয়া মানুষ ও ভাসমান জনগোষ্ঠী দুঃখ-কষ্টের লাঘব ঘটাতে পারে। শান্তিপ্রিয় মুসলমানরা অপশক্তির নানা অপকর্ম প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের থলের বিড়াল ইতোমধ্যে বের হতে শুরু করেছে।
[৭] তিনি বলেন, করোনার এই সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা দলের পক্ষে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে। তৃণমূলে পৌঁছে গেছে সরকারি সহায়তা। আর বিএনপি দরজা জানালা বন্ধ করে লিপ সার্ভিস দিচ্ছে। করে যাচ্ছে কাল্পনিক অভিযোগ।
[৮] শুক্রবার তার বাসভবনে ভার্চ্যুয়ালি এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।