মমতাজুর রহমান:[২] অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে বগুড়ার আদমদীঘিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত (৪১) এক শ্রমিক মারা গেছে এবং আরো ৪ শ্রমিককে অসচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত ওই ব্যাক্তি মারা যায়।
[৩] জানাগেছে, টাঙ্গাইল থেকে ট্রাকযোগে কুড়িগ্রাম বাড়িতে ফেরার পথে চার শ্রমিক অজ্ঞানপাটির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন। বুধবার সকালে তাদের অসেচত অবস্থায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘির ঢাকা রোড নামক স্থান থেকে পুলিশ উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করান।
[৪] এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় অজ্ঞাত (৪১) এক শ্রমিক মারা যায়। অপর তিন জন বর্তমানে সুস্থ্য রয়েছে। তারা হলেন নিলফামারি জেলার ডিমলা উপজেলার নিজসুন্দরপাকা গ্রামের মামিনুল ইষলামের ছেলে তবিবুর (১৮), কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার আরজি নিউওয়াশি গ্রামের ফরে উদ্দিনের ছেলে নুর হোসেন (৩৫) ও একই জায়গার দাবিছড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান (৪৬)।
[৫] আদমদীঘি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ তবিবুর রহমান জানায়, মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকে অচেনা এক ব্যক্তিসহ আমরা চার শ্রমিক বাড়ির উদ্যেশে রওয়ানা দেই। পথিমধ্যে তারা সিরাজগঞ্জের পাপিয়া হোটেলে রাতের খাবার খাওয়ার পর অচেনা ওই ব্যক্তি ৪জন শ্রমিককে কমল পানীয় (সেভেন আপ) খাওয়ান।
[৬] এরপর তারা ট্রাকে উঠার পর ক্রমেই অসেচতন হয়ে পড়লে তাদের নিকট থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও ১০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। বুধবার সকালে আদমদীঘির ঢাকারোড নামক স্থানে সড়কের পাশে তাদের ফেলে রেখে ট্রাকটি পালিয়ে যায়।
[৭] অসচেতন অবস্থায় চার শ্রমিককে জনতা পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ অসেচতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় চারজনের মধ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তিটি মারা যায়।
[৮] তার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায় বলে জানাগেছে।আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন