ইমরুল শাহেদ: মাত্র ক’দিন আগে নায়ক উজ্জ্বলের ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার হয়েছে। তিনি ১৯৭০ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘বিনিময়’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। এর আগে দুই বছর তিনি টিভি নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৭০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত তিনি ৬১টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ১৯৮২ সাল ছিল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম সময়। এ বছর তার সর্বোচ্চ ১৯টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে তিনি চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন।
তিনি এ রিপোর্টারকে বলেন, ‘আমাদের সৃজনশীলতার সর্বত্রই এখন চলছে একটা বন্ধ্যাত্ব। আমাকে কাজে লাগানোর জন্য আমার মতো করে চরিত্র সৃষ্টি করতে হবে। চলচ্চিত্র সামগ্রিকভাবেই একটা সৃজনশীল মাধ্যম। এখানে সকলেরই একটা অবদান থাকে। সেই রকম সংগঠক এবং সৃজনশীল পরিচালকও লাগবে।’ কোভিড মহামারির গত এক বছর থেকে ঘরেই আছেন বলে জানালেন। ‘আমার ছেলে বের হওয়ার সময় বাইরে থেকে বাড়িতে তালা লাগিয়ে দিয়ে যায়।
সে তার বাবা-মাকে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখতে চায়,’ বলেই হাসতে থাকেন উজ্জ্বল। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যে যেক্ষেত্রেই কাজ করি না কেন, আমাদের জন্য বিশেষ করে সৃজনশীলতার পর্যবেক্ষণটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটি ছবিতে অবশ্যই ইনটেলেকচ্যুয়াল অ্যাপ্রোচ থাকবে। কিন্তু সেটা ব্যাপক জনগণেরও ভালো লাগতে হবে। তাহলেই সাগগ্রিকভাবেই ছবিটি সফল হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রথম সিনেমা ‘বিনিময়’ হিট করার পর আমার কপাল খুলে যায়। এরপর ‘সমাধান’ ও ‘বন্ধু’ সিনেমা দুটি হিট হয়। সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে ভিড় উপচে পড়েছিল তখন।
‘বিনিময়’, ‘সমাধান’, ‘বন্ধু’ তিনটি সিনেমা আমার অভিনয় জীবনের শুরুতেই ভাগ্য খুলে দেয়। ‘সমাধান’ সিনেমায় আমার লিপে গাওয়া- ‘লোকে বলে রাগ নাকি অনুরাগের আয়না’ ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। গানটির বদৌলতে আমিও নায়ক হিসেবে সবার দৃষ্টি কাড়ি।’ তিনি আরো একটি গানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অনুভব’ সিনেমায় শাবানার বিপরীতে আমি অভিনয় করি। এই সিনেমাটিও আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই সিনেমার একটি গান বিখ্যাত হয়ে আছে এখনো। গানটি হলো- যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম, সদরঘাটের পানের খিলি তারে বানাইয়া খাওয়াইতাম।’