শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়ার জানাজা: বুধবার সকাল ৭টা থেকে বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক ◈ এবার ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ৪ নেতা ◈ জ্বালাময়ী যে বক্তব্যের পর বেগম খালেদা জিয়াকে আর জনসমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি (ভিডিও) ◈ এবার কারাগার থেকে প্রার্থী হলেন সাবেক যুবলীগ নেতা ◈ রাজপথের সংগ্রাম থেকে ঘরোয়া স্নেহ—ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের স্মৃতিতে খালেদা জিয়া যেমন ছিলেন ◈ খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্বের তিন মেয়াদে আলোচিত ১০টি ঘটনা ◈ খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ◈ গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অনন্য অনুপ্রেরণা ছিলেন খালেদা জিয়া—ড. কামাল ◈ খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের স্পিকার ◈ ছাত্রদলকর্মীকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৫৫ রাত
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাইকে সাথে নিয়ে ফারহানই পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি একটি পরিবারের ছয় জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী আত্মহত্যা করা দুই ভাই। এদের মধ্যে ফারহান তৌহিদ ছিল মূল পরিকল্পনাকারী। আর এ কাজে সাহায্যকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয় তার ভাইকে। ফারহান তৌহিদের ফেসবুকের স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে এলেন সিটি পুলিশ এমনটাই বলছে। সময়নিউজ

পুলিশ ও স্থানীয় বাংলাদেশিরা বলছে, ফারহান তৌহিদ দীর্ঘদিন ধরেই বিষন্নতায় ভুগছিলেন। তাই তিনি আত্মহত্যা করতে চান। কিন্তু পরিবারের বাকি সদস্যরা কষ্ট পাবে, তাই তিনি সবাইকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেন। এবং এ কাজে তার ভাইকে সাহায্যকারী হিসেবে ব্যবহার করেন। তার ভাইও একই সমস্যায় ভুগছিলেন।

টেক্সাসের স্থানীয় সময় সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে দু’ভাই মিলে তাদের মা আইরিন ও বাবা তৌহিদুল ইসলামসহ নানি এবং একমাত্র বোনকে হত্যার পর নিজেরাও আত্মহত্যা করেছে।

আত্মহত্যার নোটে ফারহান উল্লেখ করেছে- ২০১৬ সালে নবম গ্রেডে পড়া অবস্থায় সে বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়। এজন্য সে পরীক্ষায় বারবার ফেল করে। আজ সে নিজের শরীরে দু’বার কেটেছে। খুবই কষ্ট পেয়েছে। ২০১৭ সালের ২২ আগস্টও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের শরীর কেটেছিল। সে অনুভব করেছে কতটা অসহনীয় যন্ত্রণা। এরপর প্রায় দিনই শরীরে রান্নাঘরের চাকু দিয়ে কাটে।

সে যখন বিষন্নতা লাঘবের পথ খুঁজেছিল, তখন তার ঘনিষ্ঠ তিন বন্ধু তাকে ছেড়ে চলে যায়। এমন হতাশার মধ্যেই তাকে ভর্তি করা হয় ইউনিভার্সিটি অব অস্টিনে কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে। এরপর সে ভাবে যে, এবার জীবনটা সঠিক ট্র্যাকে উঠেছে। বাস্তবে তা ঘটেনি। বিষন্নতায় জর্জরিত হয়ে পুনরায় সে নিজের শরীর রক্তাক্ত করে এবং কাঁদতে কাঁদতে বিছানায় ঘুমাতে যায়। সান্ত্বনা খোঁজে যে সে সুস্থ হয়েছে। অন্যদের মতোই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটি সত্য বলে কখনই মনে হয়নি তার।

সে লিখেছে, যদি আত্মহত্যা করি তাহলে গোটা পরিবার সারা জীবন কষ্ট পাবে। সেজন্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মারা যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ভাইকে শামিল করে। এজন্য দু’ভাই মিলে বন্দুক কিনে। পরিকল্পনা হয়, ফারহান হত্যা করবে ছোটবোন আর নানিকে। আর তার ভাই করবে মা-বাবাকে। এরপর উভয়ে আত্মহত্যা করবে।

আত্মহত্যার আগে লেখা ওই নোটে সে আরও উল্লেখ করেছে, বন্দুক কেনা খুবই সহজ। তার ভাই গেল দোকানে। বলল যে, বাড়ির নিরাপত্তার জন্য বন্দুক দরকার। দোকানি কয়েকটি ফরম ধরিয়ে দিল সেখানে স্বাক্ষর করল ভাই। এরপর হাতে পেয়ে যায় বন্দুকটি।

তৌহিদুল ইসলামের দেশের বাড়ি পাবনা জেলার দোহারপাড়ায় বলে জানা গেছে। তারা হায়দার পরিবারের নিকটাত্মীয় বলে জানা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়