শিরোনাম
◈ উগান্ডা‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কাবাডি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা ◈ বর্ণিল আয়োজনে ঢাকায় নারী কাবাডি বিশ্বকাপের উদ্বোধন হ‌লো ◈ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত ◈ ‘ভারত কোনো অবস্থাতেই হাসিনাকে ফেরত দেবে না’ ◈ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা লিখলেন ◈ এই ট্রাইব্যুনাল যেন চালু থাকে, এখানে একদিন হাসিনারও বিচার হবে: সালাউদ্দিন কাদেরের সেই বক্তব্য ভাইরাল (ভিডিও) ◈ শেখ হাসিনাকে কোন অভিযোগে কী সাজা দেওয়া হয়েছে ◈ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এপিএম টার্মিনালসের ঐতিহাসিক পিপিপি চুক্তি ◈ খুনি হাসিনার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন সারজিস ◈ ইউ‌রো‌পের মা‌ঠে ফিলিস্তিন ফুটবল দ‌লের বিশেষ বার্তা

প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৫৫ রাত
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাইকে সাথে নিয়ে ফারহানই পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি একটি পরিবারের ছয় জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী আত্মহত্যা করা দুই ভাই। এদের মধ্যে ফারহান তৌহিদ ছিল মূল পরিকল্পনাকারী। আর এ কাজে সাহায্যকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয় তার ভাইকে। ফারহান তৌহিদের ফেসবুকের স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে এলেন সিটি পুলিশ এমনটাই বলছে। সময়নিউজ

পুলিশ ও স্থানীয় বাংলাদেশিরা বলছে, ফারহান তৌহিদ দীর্ঘদিন ধরেই বিষন্নতায় ভুগছিলেন। তাই তিনি আত্মহত্যা করতে চান। কিন্তু পরিবারের বাকি সদস্যরা কষ্ট পাবে, তাই তিনি সবাইকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেন। এবং এ কাজে তার ভাইকে সাহায্যকারী হিসেবে ব্যবহার করেন। তার ভাইও একই সমস্যায় ভুগছিলেন।

টেক্সাসের স্থানীয় সময় সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে দু’ভাই মিলে তাদের মা আইরিন ও বাবা তৌহিদুল ইসলামসহ নানি এবং একমাত্র বোনকে হত্যার পর নিজেরাও আত্মহত্যা করেছে।

আত্মহত্যার নোটে ফারহান উল্লেখ করেছে- ২০১৬ সালে নবম গ্রেডে পড়া অবস্থায় সে বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়। এজন্য সে পরীক্ষায় বারবার ফেল করে। আজ সে নিজের শরীরে দু’বার কেটেছে। খুবই কষ্ট পেয়েছে। ২০১৭ সালের ২২ আগস্টও ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের শরীর কেটেছিল। সে অনুভব করেছে কতটা অসহনীয় যন্ত্রণা। এরপর প্রায় দিনই শরীরে রান্নাঘরের চাকু দিয়ে কাটে।

সে যখন বিষন্নতা লাঘবের পথ খুঁজেছিল, তখন তার ঘনিষ্ঠ তিন বন্ধু তাকে ছেড়ে চলে যায়। এমন হতাশার মধ্যেই তাকে ভর্তি করা হয় ইউনিভার্সিটি অব অস্টিনে কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে। এরপর সে ভাবে যে, এবার জীবনটা সঠিক ট্র্যাকে উঠেছে। বাস্তবে তা ঘটেনি। বিষন্নতায় জর্জরিত হয়ে পুনরায় সে নিজের শরীর রক্তাক্ত করে এবং কাঁদতে কাঁদতে বিছানায় ঘুমাতে যায়। সান্ত্বনা খোঁজে যে সে সুস্থ হয়েছে। অন্যদের মতোই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটি সত্য বলে কখনই মনে হয়নি তার।

সে লিখেছে, যদি আত্মহত্যা করি তাহলে গোটা পরিবার সারা জীবন কষ্ট পাবে। সেজন্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মারা যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ভাইকে শামিল করে। এজন্য দু’ভাই মিলে বন্দুক কিনে। পরিকল্পনা হয়, ফারহান হত্যা করবে ছোটবোন আর নানিকে। আর তার ভাই করবে মা-বাবাকে। এরপর উভয়ে আত্মহত্যা করবে।

আত্মহত্যার আগে লেখা ওই নোটে সে আরও উল্লেখ করেছে, বন্দুক কেনা খুবই সহজ। তার ভাই গেল দোকানে। বলল যে, বাড়ির নিরাপত্তার জন্য বন্দুক দরকার। দোকানি কয়েকটি ফরম ধরিয়ে দিল সেখানে স্বাক্ষর করল ভাই। এরপর হাতে পেয়ে যায় বন্দুকটি।

তৌহিদুল ইসলামের দেশের বাড়ি পাবনা জেলার দোহারপাড়ায় বলে জানা গেছে। তারা হায়দার পরিবারের নিকটাত্মীয় বলে জানা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়