এসএম শামীম: [২] জেলার আগৈলঝাড়ায় মেয়ে জামাতার শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
[৩] বরিশাল অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নির্দেশে বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবুল হাশেমের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক হাওলাদারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেন বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ডোম বিজয়।
[৪] এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা হাসপাতালের ডা.জাহেদ হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলামসহ প্রমুখ। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
[৫] উল্লেখ্য, উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের বিশিষ্ট প্রবীন ব্যবসায়ি আব্দুল মালেক হাওলাদার চলতি বছর ৮মার্চ রাতে নিজ বাড়িতে মারা যান। পরদিন সকালে যথাযথ ধর্মীয় রীতি মেনে তাকে দাফন করা হয়। এদিকে আ. মালেক হাওলাদারের একমাত্র মেয়ে জামাতা একই গ্রামের আইয়ুব আলী পাইকের ছেলে আসাদুল হক পাইক ওরফে বুলু তার শ্বশুর আব্দুল মালেক মিয়ার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়; বরং তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গত ১৫মার্চ বরিশাল অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তিন ছেলে, তাদের স্ত্রী, ছেলেসহ সাত জনকে আসামী করে দঃ বিঃ ৩০২/ ৩৪ নালিশী মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আমিনুল ইসলাম বাদীর আবেদনে আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্য করে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।