আশিক এলাহী:[২] রাঙ্গুনিয়ায় অনুষ্ঠিত হেফাজতের নেতা মামুনুল হক ইস্যুতে মিছিল থেকে হেফাজত, বিএনপি ও জামায়াতের ত্রি- গোষ্ঠীর হামলায় আহত হয়ে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুল্লাহ (৫৪) মারা গেছেন।
[৩] মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সাড়ে ১২টার সময় চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৪] মুহিবুল্লাহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তানসহ অনেক গুনীজন রেখে যান।এদিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
[৫] গত শনিবার (৩ এপ্রিল) হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ এর প্রতিবাদে ওই রাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজত ইসলাম, বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীরা।
[৬] এ মিছিল থেকে হামলা চালালে আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুল্লাহসহ গুরুতর আহত হয় যুবলীগ নেতা আব্দুল জব্বার ও দিলদার আজম লিটন। তাদের উদ্বার করে উপজেলার একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে সেখানে মহিবুল্লাহ আশংকাজনক অবস্থায় নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়।
[৭] রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কি (তদন্ত) বলেন, হামলায় ঘটনায় পুলিশ ও কোদালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে দুইটি পৃথক মামলা করেছেন।
[৮] মামলা দুইটিতে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের ৬৪ জন নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুইটি মামলাতে উপজেলা বিএনপি চারজন নেতাকে আটক করা হয়েছে।
[৯] তারা হলেন প্রধান আসামি ইউনুছ মনি, এরপর ফোরকান (৩৫), ইয়াহিয়া (২৮) ও বাবর (৩৭)। এ মামলা এখন হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন