মনোয়ার হোসাইন: [২] কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় ও প্রচন্ড গরম বাতাসে নষ্ট হয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান। কিশোরগঞ্জেই ২৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত কৃষকের। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন তারা।
[৩] একদিন আগেও মাঠের সবুজ ধানের সতেজতা দেখে বাড়ি গেছেন কিশোরগঞ্জের ইটনা হাওরের কৃষক সফির উদ্দিন। কিন্তু সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে জমিতে গিয়ে দেখেন, সবুজ স্বপ্ন ধূসরে রূপ নিয়েছে। এর আগে তার জমির ধান সবুজ ছিল। আজও জেলার অনেক উপজেলা নিকলী তাড়াইল, করিমগঞ্জসহ অনেক জায়গায় ধান নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
[৪] শুধু সফির উদ্দিন নয়, তার মতো আরও অনেক কৃষকেরই জমির ধান কালবৈশাখী ঝড় ও তীব্র গরম আবহাওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে। ঋণের টাকায় ফসল বুনে এখন লোকসানে তারা।
[৫] ইটনা উপজেলার রাওতি গ্রামের কৃষক আলাল মিয়া জানান, ২০ কাটা জমিতে চাষ করেছি। রাতে ভালো করে পানি দিয়ে গেছি। সকালে এসে দেখি সব সাদা।
রেক কৃষক সোবহান মিয়া বলেন, সব উপড়ে গেছে। আমাদের এক ছটাক ধান নেওয়ার মতোও আর নেই।
[৬] কৃষকরা বলেন, এখন আমরা নিরুপায়, কী করব এখন। আমার নিজের চোখে দেখা অনেকে জমির পাশে এসে কান্না করছে।
[৭] কৃষি বিভাগের প্রাথমিক হিসেবে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৫৯৫ হেক্টর, হোসেনপুর ২৩০ হেক্টর, পাকুন্দিয়ায় ৭৪০ হেক্টর, কটিয়াধীতে ২৩০৩ হেক্টর, করিমগঞ্জে ৩৮০০ হেক্টর, তাড়াইলে ১৩৯৫ হেক্টর, ইটনায় ৪৭৫০ হেক্টর, মিঠামইনে ১৯৪০ হেক্টর, নিকলীতে ২৬৩৫ হেক্টর, অষ্টগ্রামে ৪৪০ হেক্টর, বাজিতপুরে ২৪০ হেক্টর, কুলিয়ারচরে ১১২ হেক্টর ও ভৈরবে ২৯০ হেক্টর জমির বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[৮] এবার জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন চাল।
[৯] কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ছাইফুল আলম বলেন, সরকারকে অবহিত করলে যদি সরকার ক্ষতিপূরণ দিতে চাই তাহলে তারা নিঃসন্দেহে বিবেচনায় নিতে পারে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :