নাঈমুল ইসলাম খান: [১] মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি গত ৫ এপ্রিল ‘লকডাউন’ চলাকালীন বইমেলায় যাওয়ার অনুমোদিত সময়ে তিন কন্যাসহ সপরিবারে গিয়েছিলাম।
[২] এবছর বইমেলা করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে, ফেব্রুয়ারি মাসে হতে পারেনি। মার্চ মাসে যখন শুরু হলো তখনও করোনা ভয়াবহতার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বইমেলায় বেচাকেনা একেবারেই হয়নি।
[৩] মেলায় ঘুরে ঘুরে প্রকাশক এবং স্টলের কর্মীদের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান তাদের স্টল নির্মাণ এবং কর্মীদের বেতন ভাতার টাকা মেলার বিক্রি দিয়ে উঠাতে পারবে না। লাভতো বহুদূর।
[৪] বাংলাদেশে প্রকাশকদের একটি বড় অংশ মূলত ফেব্রুয়ারির, বইমেলা দিয়েই তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। বছরের অন্যান্য সময়ে বিক্রি এমনকি সুদিনেও তেমন উল্লেখযোগ্য হয় না।
[৫] বিগত একবছর দেশে করোনাকাল, তার উপর এবছর মার্চে বইমেলা হলো চরম লোকশানের। এতো বড় বিপর্যয় অনেক প্রকাশকই সামাল দিতে সক্ষম নন। অনলাইনে বই বিক্রিও উল্লেখযোগ্য নয়।
[৬] উপরোক্ত পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রকাশকদের জন্য কিছু ভর্তুকী সহায়তা দান করলে অনেকগুলো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে।
[৭] আমাদের মতো রাষ্ট্রে শিল্প- সাহিত্য- সংস্কৃতি এমনকি সাংবাদিকতাও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া বিকশিত হতে পারে না। পারবে না।
[৮] মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি শিল্প সাহিত্যের অনুরাগী এবং বিশেষ করে বইমেলায় আপনার বিশেষ উৎসাহের কথা আমরা জানি।
[৯] আমি এজন্যই সবিনয়ে আপনার কাছে অনুরোধ করছি ক্ষতিগ্রস্ত প্রকাশকদের কিছু নগদ টাকা দান করার ব্যবস্থা করবেন।