শেখ আদনান ফাহাদ: হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ডে অনেকের লেজ বের হয়ে পড়েছে। জানলাম, বুঝলাম। এটা ভবিষ্যতে চলার পথে কাজে দেবে। আমি আওয়ামী লীগের একজন এমপি, মন্ত্রীর দোষ পেলে সাধারণত রিঅ্যাক্ট করি, প্রতিবাদ করি। মাদ্রাসায় পড়ুয়া কিছু মানুষ মামুনুলের অন্ধ ভক্ত হতে পারে, এটা স্বাভাবিক । কিন্তু যারা জাহাঙ্গীরনগর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও মামুনুলের অন্ধ ভক্ত হয়ে কিছুই বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না, তাদের নিয়ে আমাকে ভাবতে হচ্ছে। কী বলা যায় তাদেরকে নিয়ে? আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের হেফাজত করবে বলে দাবি করা একজন শীর্ষ ব্যক্তি দেশের এমন একটা পরিস্থিতিতে শুধু ফুর্তি করার জন্য রিসোর্ট এ গেছে, এটাই তো একে ঘৃণা করার জন্য যথেষ্ট। ইসলাম ভোগবাদ বিরোধী। বউ হোক বা বেগানা, যেই হোক। যেখানে ওই নারী যে মামুনুলের স্ত্রী এটা এখন পর্যন্ত প্রমাণিত নয়। নানা ফোনালাপে তাই দেখা যাচ্ছে। যদিও ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে অনেক সুশীলের বাছাইকরা রিয়েকশন আছে। তারাই আবার হেফাজত, বিএনপি-জামাতের পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস নিয়ে একদম চুপ। একটা পুরো জেলা শহর যে ধ্বংস করে দিয়েছে তাতে এই সুশীলদের কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া নেই। বরং তাদের একটা চাপা আনন্দ আছে। তাদের প্রতিক্রিয়া ৭৫ সালেও একইরকম ছিলো।
আওয়ামী লীগ বিরোধী সব কিছুতেই তাদের সম্মতি, আনন্দ। ফোনালাপ ফাঁস কখনো কখনো যে জাতির জন্য জরুরি হয়ে যায় সেটি কীভাবে তারা অস্বীকার করে। মাহমুদুর রহমান মান্না যে ঢাবিতে লাশ ফেলে দিতে চেয়েছিলো, সেটি আমরা ফোনালাপ ফাঁস হলেই জানতে পারি। তারা সারাক্ষণ ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে প্রশাসনকে অনেক কাজ করতে হয়। ইনিয়ে বিনিয়ে মামুনুলের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। মামুনুল যে কোনো নারীকে নিয়ে রিসোর্টে যেতে পারেন অবশ্যই। কিন্তু মামুনুল হক তো প্লে বয় না, তিনি একজন আলেম, হুজুর।
অন্যের বউকে নিয়ে একজন আলেম কীভাবে যান? একজন এতো বড় নেতার এখন নিজের বউ নিয়েও যাওয়ার কথা না। শুধু আনন্দ বিনোদনের জন্য তিনি যখন গেলেন তখন আমরা দেখি মাত্রই তার আহবানে আন্দোলনে এতোগুলো মানুষ মারা গেলো। ছোট ছোট এতিম বাচ্চাদের লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলনের নামে যে নৈরাজ্য চালানো হল, সেখানে তিনি কী এভাবে দিন ১৮,০০০ টাকা ভাড়া দিয়ে রিসোর্টের বিলাসবহুল রুম ভাড়া নিতে পারেন? ইসলাম পুঁজিবাদ এবং ভোগবাদ বিরোধী। তাহলে হেফাজতের হুজুর মামুনুল হকের ইসলাম কাদের ইসলাম। সৌদি শেখেরা এমন করে। অনেক গুলো বিয়ে করে। আরও কুকর্ম করে। ইসলাম এদেশে এসেছে আউলিয়াদের দ্বারা, কোনো চরিত্রহীন সৌদি শেখের হাত ধরে আসেনি। আমি একজন মুসলমান, আমি একজন বাঙালি, আমি একজন বাংলাদেশি। ইসলাম আমার প্রাণের পরিচয়। আমি গর্বিত একজন বাঙালি মুসলমান হিসেবে। ইসলাম আমাদের মুক্তি দিয়েছিলো এলিটদের অত্যাচার থেকে। তাহলে রিসোর্টে মজা করতে যাওয়া নেতা কোন ইসলামের ধারক? ফেসবুক থেকে