ইসমাঈল ইমু: [২] সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকার ঘোষিত ১১ দফা বিধিনিষেধের মধ্যে লেবানন থেকে আসা ২৭৮ যাত্রী ও তাদের স্বজনরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
[৩] জানা যায়, রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে লেবাবন থেকে দেশে আসেন এসব বাংলাদেশি। নিয়ম অনুযায়ী তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার কথা। কিন্তু এসব যাত্রীর স্বজনরা বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের সামনে কোয়ারেন্টাইন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন সকালে। এই বিক্ষোভে স্বজনদের সঙ্গে যোগ দেন লেবানন ফেরত যাত্রীরাও।
[৪] এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যাত্রী ও তাদের স্বজনদের বুঝিয়ে কোয়ারেন্টাইনের জন্য হাজী ক্যাম্পে পাঠায় যাত্রীদের। বর্তমানে যাত্রীদের হাজী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[৫] এর আগে গত ১ এপ্রিল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপসহ ১২ দেশ থেকে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে যুক্তরাজ্য ছিলো সেই তালিকার বাইরে। ২ এপ্রিল যুক্তরাজ্য বাংলাদেশি যাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। অপরদিকে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞার ১২ দেশের তালিকা রয়েছে লেবাবনের নাম। গত ৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
[৬] অপরদিকে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের প্রথম দিনে বিমানবন্দর রয়েছে অনেকটা নীরবতা। কেননা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছাড়া অভ্যন্তরীণ সকল ফ্লাইট রয়েছে ৭দিনের জন্য বন্ধ।