তাহমীদ রহমান: [২] হ্যান লে গত সপ্তাহে তার দেশের সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত নৃশংসতার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখলে, তা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিবিসি
[৩] থাইল্যান্ডের মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, আজ আমার দেশে মিয়ানমারে অনেক লোক মারা যাচ্ছে। দয়া করে মিয়ানমারকে সহায়তা করুন। আমাদের এখনই জরুরি আন্তর্জাতিক সহায়তা দরকার।
[৪] ২২ বছর বয়সী এই তরুণী ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নেমেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী হ্যান লে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সুন্দরী প্রতিযোগিতার এই মঞ্চকে তার দেশে ঘটে চলা অরাজকতা সম্পর্কে বলার স্থান হিসেবে ব্যবহার করবেন।
[৫] ব্যাংকক থেকে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মিয়ানমারে সাংবাদিকদেরও আটক করা হচ্ছে। সে কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ ব্যাপারে কথা বলবো।
[৬] তিনি মনে করেন যে, এই সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তার বলা দুই মিনিটের কথার মূল্যও অনেক বেশি। সে কারণে অনিয়মের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন।
[৭] তিনি আরো বলেন, পরিবার এবং আমার নিরাপত্তা নিয়ে আমি বেশ শঙ্কিত। কারণ আমি সেনাবাহিনী এবং মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মুখ খুলেছি। কারণ সবাই জানে মিয়ানমারে যা ঘটছে সে ব্যাপারে কথা বলার একটা সীমানা রয়েছে। বন্ধুরা আমাকে বলেছে, আমি যেন দেশে ফিরে না যাই। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল