মাসুদ রানা : বাংলাদেশে যাদেরকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘বামাতি’ বলা হয়, ইউরোপে তাদের রাজনৈতিক নাম হচ্ছে ‘ইসলামো-লেফটিস্ট’। আর, তাদের রাজনীতি বা রাজনৈতিক ধারা হচ্ছে ‘ইসলামো-লেফটিজম’(Islamo-leftism). ফেঞ্চ দার্শনিক প্যাস্কাল ব্রুকনার (Pascal Bruckner) প্রথম এ-নামটি ব্যবহার করেন যুক্তরাজ্যের ট্রটস্কিপন্থী সৌশালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির স্ট্র্যাটিজিস্টদের নির্দেশ করে, যাঁরা ইসলমিক র্যাডিকালদেরকে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে কাজে লাগানো যাবে বলে মনে করেন। বাংলাদেশে এই ইসলামো-লেফটিজমের প্রবক্তাদের অন্যতম হচ্ছেন ফরহাদ মজহার ও সলিমুল্লাহ খান, যাঁদের নিজেদের কোনো রাজনৈতিক দল না থাকলেও সাধারণভাবে ইসলামবাদীদের পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক পরিষেবা দিয়ে থাকেন।
সম্প্রতি কিছু বাম-রাজনৈতিক দলের তরুণদের মধ্যে ইসলামো-লেফটিজমের প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। অতিসম্প্রতি বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি দলীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সফরে এলে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সম্মিলিত বিক্ষোভ ইসলামী মৌলবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলামীর নিয়ন্ত্রাণাধীন মাদ্রাসা-ছাত্রদেরকে ভায়োলেণ্ট বিক্ষোভে উদ্বুদ্ধ করে। ব্রিটেইনের ইসলামো-লেফটিজম কখনও ব্রিটেইনের রাজনীতিতে নির্ধারক ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া সম্ভব নয় দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা নগণ্য হওয়ার কারণে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ইসলামো- লেফটিজম ইসলামী মৌলবাদের ভাবাদর্শিক ও সাংগঠনিক শক্তির প্রভাবে দ্রবীভুত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ০২/০৪/২০২১। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড
আপনার মতামত লিখুন :