মোহাম্মদ হোসেন:[২] চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌর সদর কাচারি সড়কে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ট্রমাসেন্টার উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী রোববার(৪ এপ্রিল)সকাল ১১টার সময় এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (এম,পি)।
[৩] এটি চালু হলে উত্তর চট্টগ্রামের যে কোনো দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ পাবে। বর্তমান সরকারের সময়ে হাটহাজারীতে ট্রমা সেন্টার একটি উন্নয়নের মাইল ফলক হিসেবে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবে।
[৪] স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ট্রমা সেন্টার এ নিমাণ করা হচ্ছে (ক) ৫ তলা ভিত্তিকসহ ৩ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন। (খ) ৫তলা ভিত্তিকসহ ৩ তলা বিশিষ্ট কনসালন্টেন্ট/মেডিকেল অফিসার ডরমিটরী(প্রতি ফ্লোরে ২ইউনিট করে মোট ১০টি ইউনিট। (গ) ৫তলা ভিত্তিকসহ ৫তলা বিশিষ্ট ষ্টাফ ডরমিটরী(প্রতি ফ্লোরে ২টি মোট ১০ ইউনিট।
[৫] খুব দ্রুত সময়ে ট্রমা সেন্টার নির্মাণ কাজ শেষ হয়। উদ্বোধনের পর উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী,রাউজান, ফটিকছড়ি বাসীসহ পার্বত্য এলাকার লোকজন চিকিৎসা সেবা পাবে।
[৬] চট্টগ্রাম-হাটহাজারী মহাসড়ক হয়ে দুই পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি শহরের ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের জরুরি চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ হওয়ায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।
[৯] হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে গুরুত্বপুর্ণ এটি ৫০ শয্যা হাসপাতালের পাশাপাশি আরো একটি চিকিৎসা সেবা যোগ হলো এটি হাটহাজারীবাসী সহ দুই পার্বত্য জেলাবাসীদের একটি উন্নয়নের মাইল ফলক। উত্তর চট্টগ্রামের কোনো ট্রমা সেন্টার না থাকায় দুর্ঘটনা কবলিত রোগীদের চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে অকালে অনেক প্রাণ ঝরে যাচ্ছে।
[১০] নব নির্মিত ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন হলে উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী,রাউজান,ফটিকছড়ি ও দুই পার্বত্য জেলা সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর হার কমাতে ট্রমা সেন্টার ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি জানান।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন