শিরোনাম
◈ বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান না হওয়ার সম্ভাবনা  ◈ দুটি ইস্যুতে উত্তপ্ত ঢাকা-দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ কলকাতায় ভাঙচুরের ঘটনায় লিওনেল মেসি দায়ী: সু‌নিল গাভাস্কার ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ গভর্নরের ◈ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত বিজয় অর্জন করতে পারতো না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ সৌদিতে হলরুম ভাড়া করে নির্বাচনী সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক ◈ আনিস আলমগীরের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি সিপিজের ◈ হিমালয়ের গভীরে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ ব্যবস্থা তৈরি করছে চীন ◈ ইউক্রেনের সাথে আপস প্রত্যাখ্যান করেছেন পুতিন ◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪৭ সকাল
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পহেলা বৈশাখ ও ঈদ বাণিজ্য নিয়ে উৎকণ্ঠায় ব্যবসায়ীরা

নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ায় পহেলা বৈশাখ এবং ঈদ-উল ফিতরের বাজার নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বড় অঙ্কের অর্থলগ্নি করেছেন বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা। আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে সকল পর্যায়ের সরকারী চাকরিজীবী পহেলা বৈশাখের উৎসব ভাতা পাবেন। এছাড়া সাধারণ নগরবাসীদের প্রত্যাশা ছিল, এবার হয়তো তারা পহেলা বৈশাখের উৎসবে শামিল হতে পারবেন। ঈদের কেনাকাটাও হবে আনন্দে-স্বাচ্ছন্দ্যে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেই আশা ক্রমে ফিকে হয়ে আসছে। পহেলা বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটা-বেচাবিক্রি মার্কেট, শপিংমল ও বিপণিবিতানগুলোতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। গত বছর করোনার কারণে ঈদ বাণিজ্যে ধস নেমেছিল। করোনা সংক্রমণরোধে সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে ১৮টি কঠোর বিধিনিষেধ ও নিদের্শনা মানার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে মার্কেটগুলোতে কেনাকাটার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতাকে বলা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ আরও বাড়লে বিধিনিষেধের মাত্রাও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আবহমান কাল থেকে রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে বহু রকমের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা ফিরে আসে। ব্যবসায়ীরা মুখিয়ে থাকেন উৎসবকেন্দ্রিক বেচাকেনার জন্য। চাঙ্গা হয় সামগ্রিক অথনীতি। হালে পহেলা বৈশাখ ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে দেশে এখন ১৫-২০ হাজার কোটি টাকার বেচাকেনা হয়ে থাকে। রোজার ঈদে এই বিক্রির পরিমাণ অন্তত দশগুণ বেশি। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতিতে এই দুই উৎসব বড় অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে সব হিসেব-নিকেশ পাল্টে যেতে শুরু করেছে। করোনা সংক্রমণের মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে কেউ আর কেনাকাটায় উৎসাহ বোধ করেন না। তবে মাস্ক পরে ও প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজার ব্যবহার করে মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটায় তেমন কোন ঝুঁকি নেই বলেও মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

গত বছর রোজার সময় দোকানপাট চালু থাকলেও ক্রেতাদের দেখা মিলেনি। অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের মুখে দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। এবারও সেই ঝুঁকি আবার তৈরি হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার প্রতিদিন বাড়ছে। - জনকণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়