বাশার নূরু: [২] টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশের সব থেকে নিকটতম বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
[৩] বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আ কা ম সরোয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
[৪] মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭২ সালে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা আরও যুগোপযোগী করে সংশোধনপূর্বক ২০১৫ সালে নবায়ন করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাবার লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে একটি কম্প্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
[৫] দুই দেশের বাণিজ্যচিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ৯৪৭ দশমিক ৭১ কোটি টাকা এবং ভারতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ২৯৫ দশমিক ১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৬৫২ দশমিক ৬০ কোটি টাকা।
[৬] ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করণের পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন আঞ্চলিক জোট ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় ভারতে রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সকল রফতানিপণ্যের ভারতের বাজারে বিনাশুল্কে প্রবেশের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।