শরীফ শাওন: [২] মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অফিস আদালত খোলা থাকায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলে শত-শত যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করে গণপরিবহন পাচ্ছে না। এতে করে নারী, শিশু, অসুস্থ রোগী ও অফিসগামী যাত্রীরা অবর্ননীয় দুর্ভোগে পড়ছে।
[৩] বৃহস্পতিবার পাঠানো বিবৃতিতে সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক আরও বলেন, হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া বাড়তি ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে প্রতিটি রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনে যাত্রী-শ্রমিক বশচা (গ্যাঞ্জাম), হাতাহাতি, মারামারি চলছে। ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হলেও অধিকাংশ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে।
[৪] অভিযোগ জানিয়ে বলেন, কর্মজীবি, শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের সাধারণ লোকজন, কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী দুর্ভোগের যাবতীয় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
[৫] বিবৃতিতে, বর্ধিত ভাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের ভাড়ায় যত সিট তত যাত্রী পদ্ধতিতে ফেরত আসার দাবি জানানো হয়। একই সাথে রাইট শেয়ারিংরের মোটরসাইকেল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে সকল শ্রেণির গণপরিবহনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কঠোরভাবে অনুসরণ চালক, যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।