তাহমীদ রহমান: [২] বিবিসি জানিয়েছে, পরিবার নিয়ে তাইওয়ানে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। সুডওয়ার্থের রিপোর্টিং নিয়ে তারা গর্বিত। তিনি তাইওয়ানে থাকলেও চীনা প্রতিনিধি হিসেবেই থাকছেন। বিবিসি,রয়টার্স
[৩] জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের নিয়ে বিবিসির খবর প্রকাশের নিন্দা করে আসছে চীন। এ নিয়ে যুক্তরাজ্য ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনাও দেখা দিয়েছে। গত নয় বছর ধরে চীনে বসবাস করা সুডওয়ার্থ বলেছেন, চীনে থাকা কঠিন হয়ে ওঠায় পরিবার নিয়ে তাইওয়ান চলে যাচ্ছেন তিনি।
[৪] গত নয় বছর ধরে চীনে বসবাস করছেন সুডওয়ার্থ। শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুরদের ওপর চীন সরকারের দমননীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে পুরস্কার জিতেছেন। তার ওই কাজ চীন সরকারের মোটেও পছন্দ হয়নি। তাই তিনি সরকারের বিরাগভাজনে পরিণত হন।
[৫] সুডওয়ার্থ জানিয়েছেন, তিনি ও তার দল কোনও ঘটনার ছবি তুলতে গেলেই তাদের বাধা দেওয়া এবং ভয় দেখানো হয়েছে। এছাড়া তার দলের উপর গোয়েন্দা নজরদারি এবং আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে সুডওয়ার্থ তাইওয়ান চলে গেলেও তার দল এখনও বেইজিংয়েই আছে। সুডওয়ার্থ তাইওয়ান থেকে কাজ চালিয়ে যাবেন।
[৬] চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালযের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কয়েকদিন আগে সুডওয়ার্থের প্রেস কার্ড নবায়ন করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি তিনি আমাদের বিদায় না বলেই চলে গেছেন।
[৭] বিবিসির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সুডওয়ার্থের প্রতিবেদনের মাধ্যমে এমন কিছু তথ্য উঠে এসেছে যেটা চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্বের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে গত বছর চীন নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ আরো কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বহিষ্কার করে। সম্পাদনা : রাশিদ